তারকাবিহীন দেশের যেকোনো সিনেমার চেয়েও খারাপ চলছে সালমানের সিনেমা
হিন্দি সিনেমা আমদানির জন্য পাগল প্রায় হয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের সিনেমা হল মালিকেরা। ভাবসাব এমন, হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেলেই চেহারা পাল্টে বাংলাদেশে সিনেমা হলগুলোর। মালিকদের চাপাচাপিতে, বছরে ১০টি ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তির অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু ব্যবসা ও চেহারা কোনটাই পাল্টাই সিনেমা হলগুলোর।
চলতি বছরের ১২ মে ‘পাঠান’ মুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল দেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তির যাত্রা। তবে সিনেমাটি আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি বলে স্বীকার করছেন সাবেক হল মালিকদের নেতা ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। আর শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দেশের ৩২টি সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ সিনেমার অবস্থা শোচনীয়। কারণটা অবশ্য, সালমান খানের এই ফ্লপ সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ১২৬ দিন পর।
স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি শাখায় প্রতিদিন ১৮টি শো প্রদর্শিত হচ্ছে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। কেমন চলছে সিনেমাটি এমন প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদের ভাষ্য, ‘এটা একেবারেই চলছে না। অবশ্য সিনেমা থেকে আমরা খুব একটা প্রত্যাশাও করিনি। এক দিকে পুরনো সিনেমা, ওটিটিতেও চলে এসেছে অনেক আগে। আর ভারতেও তো চলেনি সিনেমাটি। সুতরাং এখানে চার-পাঁচশ টাকা খরচ করে কে দেখবে এই সিনেমা!’
ঢাকার লায়ন সিনেমাস, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনসহ অন্যান্য হলগুলোর অবস্থাও একই।
মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানাচ্ছেন, ‘সালমানের এই সিনেমা তারকাবিহীন বাংলাদেশের যেকোনো ছবির চেয়েও খারাপ যাচ্ছে।’
প্রায় ২২৫ কোটি রুপিতে নির্মিত হয়েছে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। ভারত থেকে এটি মোটে ১১০ কোটি ৫৩ লাখ রুপি কালেকশন করতে পেরেছিল। বিশ্বব্যাপী কালেকশনের পরিমাণ ১৮২ কোটি রুপি। অর্থাৎ বক্স অফিস থেকে বাজেটের টাকাও তুলতে পারেনি সিনেমাটি।
ফরহাদ সামজি পরিচালিত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এ সালমান খানের নায়িকা পূজা হেগড়ে। এছাড়াও আছেন ভেঙ্কটেশ, ভূমিকা চাওলা, জগপতি বাবু, রাঘব জুয়াল, জেসি গিল, শেহনাজ গিল, পলক তিওয়ারি সতীশ কৌশিক প্রমুখ।