বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে থাপ্পর মারা কে এই নারী কনস্টেবল
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দেশটির হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে বিজেপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীর হাতে থাপ্পর খেয়ে ফের আলোচনায় কঙ্গনা। শুধু কঙ্গনাই নন, আলোচনায় রয়েছে থাপ্পর মারা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) নারী সদস্য কুলবিন্দর কৌরও।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভারতের চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে কষে থাপ্পর মারার অভিযোগ ওঠে সিআইএসএফ কনস্টেবল কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্তের পর আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করেছে সিআইএসএফ।
৩৫ বছর বয়সি কুলবিন্দর পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধি এলাকার বাসিন্দা। ২০০৯ সালে তিনি সিআইএসএফের চাকরি পান। ২০২১ সাল থেকে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্মরত তিনি। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২০২০ সালের কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার করা মন্তব্যের বিষয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন কুলবিন্দর। সে কারণে বৃহস্পতিবার চণ্ডিগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে হাতের নাগালে পেয়েই এতদিনের পুষে রাখা ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। থাপ্পরকাণ্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে কুলবিন্দরকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আমার মা ছিলেন ওখানে’।
জানা গেছে, দিল্লিজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করা কৃষক আন্দোলনে ১০০ টাকার বিনিময়ে অংশ নিয়েছিলেন নারীরা, সে সময় এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। সেই বক্তব্যের জবাব দিয়ে কুলবিন্দর জানান যে, তার মাও ছিলেন সেই আন্দোলনে।
তাকে বলতে শোনা যায়, ‘কঙ্গনা বলেন নারীরা ১০০-১০০ টাকায় বসেছিলেন কৃষক আন্দোলনে, উনি গিয়ে বসবেন ওখানে? আমার মা বসেছিলেন ওখানে, তখন উনি ওই মন্তব্য করছিলেন।’ কুলবিন্দর এটিও স্পষ্ট করে দেন যে, কঙ্গনাকে ‘কৃষকদের অসম্মান’ করার জবাব দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ভারতজুড়ে একজোট হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন কৃষকরা। এতে উত্তাল হয় দিল্লির পরিস্থিতি। সেই সময় ওই আন্দোলনে বসে থাকা এক বৃদ্ধার ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লেখেন, ‘১০০ টাকাতেই লভ্য’। বিপুল জনরোষের মুখে সেই পোস্ট মুছতে বাধ্য হন অভিনেত্রী।