আপনার ইফতারের জুস স্বাস্থ্যকর তো?
ইফতার মেন্যুতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস না হলে চলে না। আমরা সাধারণত ইফতার শুরু করি ফলের জুস দিয়ে। কিন্তু সেই জুস কতটা স্বাস্থ্যকর?
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ইফতারের জুসের স্বাস্থ্যকর দিক সম্পর্কে বলেছেন পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক।
পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক বলেন, আমরা ইফতার মেন্যুতে যে ফলের জুস রাখব, তা যেন হয় ঘরে বানানো ও পুষ্টিকর ফলের জুস। বাইরে আর্টিফিশিয়াল যে জুসগুলো পাওয়া যায়, সে জুস অবশ্যই আমাদের পরিহার করতে হবে। রাসায়নিকমুক্তি জুস যেন আমরা গ্রহণ করি, সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, বাইরে তাজা ফলের সাথে প্রচুর কৃত্রিম রং, প্রচুর সুগার ব্যবহার করে জুস বানায়। এগুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।
তাসনিম আশিক বলেন, আমরা ফলের জুস খাব, কিন্তু অবশ্যই যেন সেটি হয় ঘরে বানানো। যেমন যে সময় যে ফল পাওয়া যায়, বিশেষ করে রমজানে যে ফলগুলো পাওয়া যায়—তরমুজ, বাঙি, আনারস ইত্যাদি। এ ধরনের ফলের সাথে পানি মিশিয়ে—চিনি ছাড়া যদি ঘরে একটু বিটলবণ, ভাজা জিরার গুঁড়ো ব্যবহার করে জুস বানাতে পারি, তাহলে এটি আমাদের জন্য পুষ্টিকর পানীয় হবে।
পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিকের পরামর্শ, ঘরে বানানো ফলের জুস আমাদের সারা দিন রোজা রাখার পরেও শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু আমরা অতিরিক্ত সুগার ব্যবহার করব না, সুতরাং এ জুস খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকবে না যখন আমরা ঘরে বানানো জুস খাব। আমরা চাইলে ইফতারে ডাবের পানি খেতে পারি। টক দই দিয়ে লাচ্ছি বানিয়ে খেতে পারি। যারা মিষ্টি দইয়ের লাচ্ছি পছন্দ করে, তারা চাইলে সপ্তাহে এক-দুদিন মিষ্টি দইয়ের লাচ্ছি বানিয়ে খেতে পারে। কিন্তু অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে—জুস বানানোর ক্ষেত্রে আমরা দেশি ফলকে প্রাধান্য দেব। এতে আমরা অতিরিক্ত চিনি বা লবণ যুক্ত করব না।
ইফতারে ফলের জুস বানানোর ক্ষেত্রে আমাদের কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।