উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে টক দইয়ের ভূমিকা
পুষ্টিগুণে ভরপুর টক দই। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে টক দইয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে টক দইয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কথা বলেছেন রাজধানীর মালিবাগের মেডিনোভা মেডিকেলের পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না।
পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না বলেন, ১০০ গ্রাম টক দইয়ে আপনি ক্যালোরি পাচ্ছেন ৬০, যেখানে ৯০ শতাংশ ময়েশ্চার রয়েছে। এতে রয়েছে ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম। এ ছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে এই টক দইয়ে।
উম্মে সালমা তামান্না বলেন, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁরাও কিন্তু টক দই খেতে পারেন। কারণ, টক দইয়ে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে, যা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি টক দইয়ে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যেটা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক দইয়ের কোনও বিকল্প নেই। কারণ, টক দই খুব ধীরে ধীরে ব্লাড সুগার বাড়ায়, যেটা আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, যাঁদের ওজন অনেক বেশি, যাঁরা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য টক দই উপকারী। টক দই পানির পিপাসা লাগার প্রবণতা দূর করে, পানিশূন্যতা হওয়ার যে ঝুঁকি থাকে, সেটা কমাবে। আপনি টক দই ও লেবু দিয়ে লাচ্ছি খেতে পারেন, যেটা পানীয়ের যে চাহিদা সেটা পূরণ করবে। এক কাপ টক দইয়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ফল কেটে মিশ্রণ তৈরি করে খেতে পারেন। ফ্রুট সালাদ তৈরি করতে পারেন বা কাস্টার্ড তৈরি করতে পারেন, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না আরও বলেন, চাইলে আপনি টক দই দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। সাধারণত দুই কলা নিয়ে তার মধ্যে যদি এক কাপ টক দই নেন, দুই থেকে তিন টেবিল চামচ পিনাট বাটার নিয়ে স্মুদি করেন, একটা খাবারই আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালোরি দেবে, এনার্জি দেবে এবং ওজন বাড়াবে না।
টক দইয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।