কারা মৃগী রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন?
অনেকেই খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত। অনেকে একে মৃগী রোগ বলে থাকে। তবে খিঁচুনি ও মৃগী রোগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব মৃগী রোগ বংশগত কি না, কারাই বা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মৃগী রোগ সম্পর্কে কথা বলেছেন ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. নাজমুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
মৃগী রোগটা আসলে কীভাবে বুঝব, কারও সমস্যাটি হচ্ছে আর সেটি খিঁচুনি না, মৃগী রোগ। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, মৃগী রোগীদের আসলে যেটি হয়, জেনেটিক কারণেই হোক, জন্মগত বা বার্থ ডিফেক্টের কারণেই হোক, অথবা জন্মের পরে দীর্ঘ সময় ধরে আইসিইউতে অক্সিজেন সাপ্লাই তার ব্রেইনে কম গিয়েছে, সে কারণেই হোক; দেখা যায় যে তার বারবার খিঁচুনি হয়, অজ্ঞান হয়ে যায়, দাঁত কেটে যায়, প্রস্রাব করে দেয়, হাত-পায়ে খুব জোরে খিঁচুনি হয়; এ ধরনের একটি টেন্ডেন্সি থাকে। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে দেখা যায় যে তার কখনওই সুগার কমেনি বা রক্তে লবণের পরিমাণ কমেনি, কোনও জ্বর নেই। কোনও কারণ ছাড়াই তার বারবার খিঁচুনি হচ্ছে। এটা জেনেটিক ডিজিজ। এই যে কোনও কারণ ছাড়াই তার বারবার খিঁচুনি হওয়ার প্রবণতা এটাকে মৃগী রোগ বলে।
কাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে বা ঝুঁকিতে কারা বেশি রয়েছেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, বাবা-মায়ের যদি মৃগী রোগ থাকে, তাহলে বাচ্চাদের মৃগী রোগী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া জন্ম হওয়ার সময়, বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা হলে; নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় কারও প্রলং লেবার হয়, অনেক সময় ধরে বাচ্চা ডেলিভারি হচ্ছে না, বাচ্চা প্রপার অক্সিজেন পায় না, অনেক বাচ্চার ডেলিভারির পরে কাঁদতে দেরি হয় বা আমাদের গ্রামদেশে দায়েরা যখন ডেলিভারি করে, শিশু ডাক্তার থাকে না, ম্যানেজমেন্টটা ঠিকভাবে হয় না, তখন... এসব বাচ্চার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ব্রেইনে ঠিকমতো না থাকার কারণে মৃগী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মৃগী রোগ সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।