কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
অনেকেই কিডনিতে নানা ধরনের রোগে ভুগছেন। কিডনিতে পাথর হয় অনেকের। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, এটা নির্ভর করে দুটি জিনিসের ওপর। একটা হলো স্টোনটা কোন জায়গায় আছে এবং স্টোনের সাইজ বা কত বড় পাথর। ট্রিটমেন্টের জন্য আমাদের গাইডলাইন আছে। যদি কিডনির ভেতরে থাকে এবং এটা চার মিলিমিটারের চেয়ে কম হয়, কোনও অবস্ট্রাকশন বা বাধা না দেয়, আমরা সাধারণত কোনও ট্রিটমেন্ট দিই না। রোগীকে বলি আপনি বেশি পানি খাবেন, একটু জগিং করেন। কেন বলি, দেখা যায় যে চার মিলিমিটারের চেয়ে ছোট যে পাথর, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমনিই বের হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় ছোট স্টোন নালির মধ্যে ব্লক করে এবং সেটা নিচে নামে না। ব্লক করে রাখে, কিডনিটা ফুলতে থাকে। সে ক্ষেত্রে ছোট স্টোন হলেও ট্রিটমেন্ট দিতে হবে।
ডা. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, চার মিলিমিটারের চেয়ে যদি স্টোন বড় হয়, পাঁচ মিলিমিটার থেকে দুই সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকে এবং ফেভারেবল লোকেশন, মানে আমরা জানি কিডনির মধ্যে অনেক কুঠুরি আছে, ১৩-১৪টা চেম্বারের মতো আছে কিডনিতে। যদি এটা উপরের দিকে হয়, যেখানে কিনা পাথর ভেঙে দিলে প্রস্রাবের সাথে ফ্লোতে বের হয়ে আসবে, সেসব ক্ষেত্রে বাইরে থেকে স্টোন ক্রাশ করা যায়। এটা কোনও অপারেশন নয়। একটা মেশিনের উপর পেশেন্টকে শোয়ানো হয়, বাইরে থেকে শক ওয়েভ দেওয়া হয়, ওই স্টোন গুঁড়ো হয়ে প্রস্রাবের সাথে চলে যায়। কিন্তু এর জন্য স্টোনের সাইজ ছোট হতে হবে এবং স্টোনটা ফেভারেবল লোকেশনে থাকতে হবে। স্টোনটা যদি নিচের দিকে থাকে, তাহলে ভাঙলেও উপরের দিকে যাবে না।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।