কিডনি রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবেন
এখন চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ সময় ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রমজানে কিডনি রোগীরা কী কী বিষয়ে সচেতন হবেন, সে সম্পর্কে আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে রমজানে কিডনি রোগের সচেতনতা নিয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হসপিটালের কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, সাধারণত যেসব রোগী আমাদের কাছে আসে; যেমন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, যেটাকে সিকেডি বলা হয়; তার পরে যারা আসে, শরীর-মুখ যাদের ফুলে যায়, পায়ে পানি চলে আসে; এর পর আসে মূত্রতন্ত্রের প্রদাহ বা পাথরজনিত রোগ; ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কিডনি রোগ—অনেককে দেখা যায় ব্যথার বড়ি খেয়ে নিজেদের অসুস্থ করে ফেলে, এ ধরনের রোগী আসে। তা ছাড়া আকস্মিক কিডনি রোগ নিয়েও আমাদের কাছে অনেকে আসে।
কিডনি রোগী কি রোজা রাখতে পারবেন, তাঁদের জন্য কতটুকু নিরাপদ? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ সামাদ বলেন, রোজা রাখতে সবাই পারবে, শুধু কিছু বাদ যাবে। কারা? যাদের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ রয়েছে, যারা স্টেজ ৩, ৪, ৫-এ চলে যায়, এদের রোজা রাখার ব্যাপারে একটু ঝুঁকি আছে। ডাক্তার আগে থেকে পরীক্ষা করে দেখবে ঝুঁকি কতটুকু আছে। তারা যদি ঝুঁকিমুক্ত থাকে, সিকেডি স্টেজ ৩ ও ৪ পর্যন্ত রোজা রাখতে পারে।
ডা. এম এ সামাদ বলেন, কারও যদি আকস্মিক কিডনি বিকল হয়ে যায়, অনেকের ডায়ারিয়া-বমি হয়ে পানিশূন্যতা হয়, অনেকের রক্তক্ষরণের জন্য, অনেকের তীব্র মাত্রার ইনফেকশনের জন্য—তো এ রকম যদি থাকে, আকস্মিক কিডনি বিকল হলে ওই সময়টা রোজা রাখা যাবে না। যখনই রোগটা সেরে যাবে, যখন ডাক্তার বলবেন রোজা রাখার জন্য, তখন সে রোজা রাখতে পারবে।
ডা. এম এ সামাদ যুক্ত করেন, আরেকটা গ্রুপ আছে, যারা সিকেডি স্টেজ ৫-এ আছে, যাদের ডায়ালাইসিস করতে হয়, এদের রোজা রাখায় ঝুঁকি আছে।
কিডনি রোগী কি রোজা রাখতে পারবেন, তাঁদের জন্য কতটুকু নিরাপদ, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।