কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ৫ খাবার
কোলেস্টেরলকে নীরব ঘাতক বলা হয়। কোলেস্টেরল এক প্রকারের চর্বি। এটি কয়েক ধরনের হয়ে থাকে—ট্রাইগ্লিসারাইডস, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টেরল। এর মধ্যে এইচডিএল হলো উপকারী এবং এলডিএল হলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কিছু খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আসুন পাঁচ খাবার সম্পর্কে জেনে নিই—
কাজুবাদাম
হার্ট সুস্থ রাখতে কাজুবাদাম স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ফাইবার, যা ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন কাজুবাদাম খেলে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা তিন থেকে ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে। আপনি সালাদে কাজুবাদাম ব্যবহার করতে পারেন।
রসুন
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে রসুন। এটি টোটাল কোলেস্টেরল ও এলডিএল লেভেল কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা দুমাস প্রতিদিন রসুন খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে সার্জারির আগে রসুন খাওয়া ঠিক নয়।
পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে লুটিন নামক উপাদান, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক থেকে সুরক্ষা দেয় এই লুটিন নামক উপাদান। যদিও প্রায় সব শাকেই রয়েছে কোলেস্টেরল কমানোর মতো উপাদান, তবে পালং শাক দুর্দান্ত উৎস। প্রতিদিন এক কাপ পালং শাক খেতে পারেন।
ডার্ক চকলেট
আপনি কি জানেন, ডার্ক চকলেট উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে? এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডার্ক চকলেটে রয়েছে থিওব্রোমিন নামক উপাদান, যা এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে খারাপ কোলেস্টেরল কমতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন।