চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ৭ খাবার
চোখ মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চোখের মাধ্যমে আমরা চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রিয়জনকে দেখে থাকি। একবার ভাবুন তো যারা অন্ধ তারা কতোটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন পার করছেন। তাই চোখে যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। ডিজিটাল যুগে, আমাদের সবারই সময় কাটে মোবাইল চালিয়ে। কাজের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ কিংবা পিসি ব্যবহার করা হয় অনেকক্ষণ ধরে। স্মার্টফোন, ওটিটি তে সিনেমা দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা সবাই খুব বেশি পরিমাণে স্ক্রিনটাইমে সময় দেই। এটি আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এ ছাড়াও, বয়সের সাথে সাথে আমাদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে থাকে। কিছু খাদ্য আমাদের চোখে দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। তাই এসব খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় আনা উচিত।
সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন রয়েছে। এগুলো চোখের জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে, পালং শাক এবং ব্রকলি আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
লাল ক্যাপসিকাম
লাল ক্যাপসিকামে ভিটামিন সি রয়েছে। চোখের রক্তনালীগুলির জন্য এটি খুবই ভাল। চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে লাল ক্যাপসিকাম।
বাদাম এবং বীজ
বাদাম, যেমন- আখরোট এবং সূর্যমুখী বীজ প্রতিদিন খাওয়া উচিত। এসব খাবার চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে খুবই কার্যকর। এগুলোতে ভিটামিন ই এবং সি, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এসব উপাদান চোখের অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
মসুর ডাল
মসুর ডাল জিঙ্ক এবং প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি প্রাকৃতিকভাবে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
ডিম
ডিম উচ্চ প্রোটিন খাবার। চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিম খুবই উপকারি। ওয়েব এমডি’র মতে, ডিমের কুসুমের যৌগগুলি চোখের রেটিনাকে ভাল রাখে। সূর্যের ক্ষতিকারক নীল রশ্মির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। চোখের অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। রাতকানা রোগের প্রতিকার করে।
কিউই
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য কিউই ফলটি বেশ উপকারি। এটি অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে রক্ষা করে। চোখের উপর প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলে।
শুধু খাবারের উপর নির্ভরশীল হয়ে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করা যাবে না। খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও, জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। দৃষ্টিশক্তি রক্ষার আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে।
পর্দার ক্ষতিকর নীল রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করুন। স্ক্রিনে কম সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রক্তে শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
সূত্র- ইন্ডিয়া ডট কম