জন্মবিরতিকরণ পিল খেলে কি মাসিক নিয়মিত হয়?
মাসিক নারীর নিয়মিত শারীরবৃত্তীয় অবস্থা। কিন্তু অনেকেই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অনিয়মিত মাসিক সম্পর্কে বলেছেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহীন রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
গর্ভাবস্থায় বা প্রেগন্যান্সি কন্ডিশনে নারীদের মাসিক বন্ধ থাকে এবং ডেলিভারি হওয়ার পর এটি কবে থেকে স্বাভাবিক হয় এবং ল্যাকটেশনাল পিরিয়ডেও কি অনিয়মিত মাসিক হতে পারে কি না, এটি স্বাভাবিক না কি অস্বাভাবিক? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. শাহীন রহমান চৌধুরী বলেন, ল্যাকটেশন পিরিয়ডে মাসিক যে হয় না, সেটাকে আমরা বলি ল্যাকটেশন অ্যামেনোরিয়া। মানে মাসিক বন্ধ। এটা খুবই স্বাভাবিক। যারা খুব এক্সক্লুসিভলি ব্রেস্ট ফিড করে... ছয় মাস পরপর একটু একটু করে তো খাওয়াতে থাকে, এর আগে অনেকেরই টোটালি বন্ধ থাকে। এটা খুবই ন্যাচারাল এবং কন্ট্রাসেপশন হিসেবে প্রটেকশনও দিচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. শাহীন রহমান চৌধুরী বলেন, অনেক মেয়ের দেখা যায় ৪০ দিন পরেই মাসিক হচ্ছে। এটাও গ্রহণযোগ্য, কোনও সমস্যা নেই। আমাদের বোঝা উচিত ল্যাকটেশন অ্যামেনোরিয়া এক বছরও যেতে পারে। মাসিক নাও হতে পারে। তাই এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই।
জন্মবিরতিকরণ যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে, এগুলো ব্যবহারের পরে অনেকে অভিযোগ করেন, তাঁর মাসিকে সমস্যা বা নিয়মিত হচ্ছে না। আপনারা তাঁদের কীভাবে কাউন্সেলিং করেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. শাহীন রহমান চৌধুরী বলেন, সাধারণত মুখে যে পিল খাওয়া হয়, কমবাইন্ড পিল মাসিককে নিয়মিত রাখে। ঠিকমতো যদি কেউ খান, তবে মাসিক নিয়মিত হবে। এ জন্য যাঁদের মাসিক অনিয়মিত, তাঁদের আমরা বলি, জন্মনিয়ন্ত্রণ যদি করতে চান, তাহলে পিল আপনার জন্য সুইটেবল; যেটা মাসিককে রেগুলার করে রাখে। অনেকে মুখে খেতে চায় না। ভাবে, খেলে মোটা হয়ে যাব। সে ক্ষেত্রে ইনজেকশনে যায়। তিন মাস পরপর ইনজেকশন। ইনজেকটেবল কনট্রাসেপটিভ নিলে অনেক সময় ইরেগুলার ব্লিডিং হয়। আবারও কারও হয়তো লং টাইম বন্ধ থাকে।
অনিয়মিত মাসিক কী, কেন হয় এবং সমস্যা হলে প্রতিকার কী, এ সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটিতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।