পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে?
আগে সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) দেখা যেত। এখন কম বয়সি মেয়েদের পিসিওএস বেশি দেখা যায়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পিসিওএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নিয়ে কথা বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের লক্ষণ? ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি বলেন, অবাঞ্ছিত লোম, ওজন বৃদ্ধি, ব্রণ বৃদ্ধি, ঘাড়ের পেছনে কালো হয়ে যাওয়া এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা হয়, মেয়েদের মাসিক অনিয়মিত হওয়া শুরু করে।
যাঁদের পিসিওএস রয়েছে, ট্রিটমেন্টও চলছে, তাঁদের পরবর্তীতে বন্ধ্যত্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি বলেন, হ্যাঁ, এটা তো একটা ওয়ার্ল্ডওয়াইড বার্নিং ইস্যু। পিসিওএস পেশেন্টের সাথে ইনফার্টিলিটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেহেতু ডিম্ব স্ফুটন হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে গর্ভধারণও হচ্ছে না। পিসিওএস পেশেন্টের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মেয়ে ইনফার্টিলিটিতে সাফার করছে। এ জন্য যাঁরা আগে থেকেই জানেন, তাঁরা কিন্তু বিয়ের পর বেশি দিন দেরি করবেন না। বেবি নেওয়ার জন্য তাঁদের আগে থেকেই প্ল্যান করে ডাক্তারের কাছে চলে আসতে হবে।
ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি আরও বলেন, পিসিওএসের ক্ষেত্রে যে কারণে হচ্ছে না, ডিম্বাণু ফুটছে না। এই জিনিসটা হরমোনকে নিয়ন্ত্রিত করে, বডির ওজনটাকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করে তার পরে আমরা ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি। তো এই ট্রিটমেন্টে অনেক সময় লাগে। কিন্তু হবে না তা নয়। মানে পারমানেন্ট ইনফার্টিলিটি হচ্ছে তা-ও কিন্তু নয়। তবে ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনেক ঝুঁকিতে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কী, এর লক্ষণ ও প্রতিকার বিশদে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।