বাচ্চার টিফিনে কী রাখা জরুরি
বাচ্চাদের টিফিন কেমন হবে, কতটা গুরুত্বের সাথে বাবা-মাকে টিফিন তৈরি করতে হবে, একটা টিফিনে কী কী থাকা প্রয়োজন—এসব প্রশ্নের উত্তর জানব একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান বলেন, ছোটবেলায় আমরা যখন টিফিন নিতাম, আমাদের বাবা-মায়েরা অনেক ধরনের টিফিনই আমাদের দিয়ে দিত। যেমন রুটির সাথে ভাজি বা একটা ডিম সেদ্ধ ও কলা বা নুডুলস। এখন বাচ্চাদের চয়েজ চেঞ্জ হয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চার টিফিনে ব্যালান্স কিছু যদি আমরা দিই, যে খাবারটা জীবাণুমুক্ত, হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে। টিফিনের সাথে বাচ্চাকে যে পানিটা দিচ্ছি, সেটা কী ধরনের হলে ভালো হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহানের পরামর্শ, দেড় থেকে দুই বছরের বাচ্চা যখন বাসায় থাকে, তখন তার বডিতে অনেক ধরনের ইমব্যালান্স তৈরি হয়। সেই বাচ্চা যখন বাইরে যাবে, তখন কিন্তু এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিটা তার জন্য খুব ইমপরট্যান্ট হয়ে ওঠে। বাতাসে ভেসে বেড়ানো অসংখ্য জীবাণু আছে, যেগুলো বাচ্চার হাতের মাধ্যমে খাবারে চলে যেতে পারে। এ কারণে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যাতে না হয়, সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান আরও বলেন, তিন ধরনের খাবার আপনি খেয়াল রাখবেন—যেটাতে কার্বোহাইড্রেট থাকবে, প্রোটিন থাকবে ও তাজা শাকসবজি বা ফল থাকতে পারে। কীভাবে সেটা করবেন। যদি আপনি স্যান্ডউইচ তৈরি করেন, তাহলে আপনি কার্বোহাইড্রেটের পোরশন ব্রেড নিতে পারেন। সেটা ব্রাউন ব্রেড হতে পারে, যদি বাচ্চার ওজন একটু বেশি থাকে। বাচ্চা যদি নরমাল হয়ে থাকে, তাহলে সাদা যে রুটিগুলো আছে, সেগুলো দিতে পারেন। তার ভেতরে আপনি একটু মাখন দিয়ে নিতে পারেন বা চিজের লেয়ার দিতে পারেন। ডিম পোচ করে সেখানে দিতে পারেন। তার ভেতরে টমেটো এবং যদি শসা একটু দেন, লেটুস পাতা দেন, তাহলে তাজা সবজিও চলে আসবে।
বাচ্চার টিফিনে কী রাখা জরুরি, তা সবিস্তারে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।