বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের রোজা রাখা কি নিরাপদ?
এখন চলছে পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় গর্ভবতী মায়েদের রোজা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে গর্ভবতী মায়ের রোজা সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে গর্ভবতী মায়ের রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হসপিটালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
যাঁরা ল্যাকটেনিন মাদার, তাঁদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা কতটুকু নিরাপদ? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম বলেন, প্রেগন্যান্সি যেমন মায়ের কাছে জরুরি, ডেলিভারির পরে বাচ্চাকে ফিডিং করানোও মায়ের জন্য অতীব জরুরি। এখন যে বাচ্চা অ্যাবসলিউটলি ব্রেস্ট ফিডিংয়ের ওপর নির্ভরশীল, অন্য কিছু খায় না, সে মায়ের তিন বার চিন্তা করতে হবে রোজা রাখবে কি না। কারণ, তার যদি ঠিকমতো হাইড্রেশন মেইনটেইন না হয়, বা পানিজাতীয় জিনিস খেতে না পারে, তাহলে কিন্তু বাচ্চা বুকের দুধ পাবে না। কারণ, বুকের দুধ নির্ভর করে মায়ের হাইড্রেশনের ওপর। মায়ের শরীরে কতটা পানি আছে, তার ওপর নির্ভর করে। যদি মায়ের ডিহাইড্রেশন থাকে, তাহলে রোজা রাখা তোমার উচিত হবে না। তুমি রোজা রাখো, পরবর্তীতে রাখার সুযোগ আছে তো।
গর্ভবতী মায়ের ডিহাইড্রেশন হওয়ার লক্ষণ কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম বলেন, প্রথম হলো তার খুব খারাপ লাগবে, খুব ডিজি বা মাথা ঘুরবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাবে। প্রস্রাবের রং বদলে যাবে, হলুদ হয়ে যাবে এবং বার্নিং হবে, জ্বালাপোড়া করবে। ওজনের মাত্রা কমে যাবে। যদি সত্যি সত্যি স্টাবলিশ ডিহাইড্রেশন হয়, তাহলে বাচ্চার মুভমেন্টও কমে যাবে, যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভবতী মায়ের রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।