ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকারের উপায়
ব্রণ আমাদের সবার কাছে একটি আতঙ্কের নাম। ১২-১৩ থেকে ১৯-২০ বছর বয়সী যেসব ছেলেমেয়ে রয়েছেন, তাঁদের এই ব্রণজনিত সমস্যা আমরা প্রায়ই দেখি। ব্রণের সমস্যায় ভুগলে খাদ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া দরকার, তা আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে ব্রণজনিত সমস্যায় খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ।
ব্রণ কেন হয়?
পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, যাঁদের শরীরে হরমোনাল ইমব্যালান্স থাকে, তাঁদের সাধারণত ব্রণ হতে পারে। এ ছাড়া যাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড-জাতীয় খাবার বা ওষুধ গ্রহণ করেন, তাঁদেরও ব্রণজনিত সমস্যা দেখা দেয়। সৌন্দর্যচর্চা আমরা প্রতিনিয়ত বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। সে ক্ষেত্রেও ত্বকে ব্রণ বা অ্যাকনিজনিত সমস্যা হতে পারে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, ব্রণ হওয়ার পেছনে খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে আমাদের ব্রণ হতে পারে।
ব্রণ হলে খাদ্যাভ্যাস
পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদের পরামর্শ, ব্রণজনিত সমস্যায় ভুগলে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি তরমুজ বা শসা, যেসব ফলে পর্যাপ্ত পানি থাকে, সেসব ফল খেতে হবে। এ ছাড়া লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, পটল এ জাতীয় সবজি, যেগুলো থেকে আমরা পানি পেয়ে থাকি, সে ধরনের সবজি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। গাঢ় সবুজ শাকসবজি, যেমন—পালং, কলমি শাক ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।
যাঁরা ব্রণজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই খাদ্যতালিকায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন—বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, বাদাম রাখতে পারেন। এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফল, যেমন—পেঁপে, গাজর ও মিষ্টি কুমড়া। পেঁপে আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো। ত্বকের রঙের ভেতরে যে অসামঞ্জস্য থাকে, তা দূর করতেও সাহায্য করে। ব্রণজনিত সমস্যায় ভুগলে খাদ্যতালিকায় ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন, যেমন—লাল চাল, লাল আটা, বাদাম, কলা ইত্যাদি।
ব্রণজনিত সমস্যায় ভুগলে খাদ্যতালিকায় টমেটো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারণ, টমেটোতে আমরা যে ধরনের উপাদান পেয়ে থাকি, তা সাধারণত আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ব্রণ হওয়ার পরে যে দাগ হয়, সে দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। খাদ্যাভ্যাস সঠিক করার পাশাপাশি ব্রণে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের নিয়মিত ঘুমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।