ভাত না রুটি খাব?
ভাত না রুটি, কোনটা খাব? সুস্থ থাকতে হলে ভাত না রুটি খাব; কিংবা ওজন যাঁরা কমাতে চাইছেন, তাঁরা ভাত খাবেন না রুটি খাবেন, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের শেষ নেই। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ভাত ও রুটি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না।
পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না বলেন, ভাত না রুটি, তার মধ্যে কোনটা খাব, সেটা জানতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে কোনটার পুষ্টিগুণ কেমন এবং কার জন্য কোনটা বেশি উপকারী। ভাত বা রুটি, দুটোতেই কার্বোহাইড্রেট থাকে, ক্যালোরিও প্রায় একই থাকে। তার পরেও একটু পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত দেখা যায় ভাতে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা কিংবা যাঁরা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাঁরা কোনটা খাবেন, সেটা নির্ভর করে জিআইয়ের ওপরে। কোন খাবার কতটুকু খেলে সেটা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়াবে, সেটার ওপর নির্ভর করে ওই খাবারের জিআই কেমন।
উম্মে সালমা তামান্না বলেন, সাধারণত সত্তরের বেশি হলে ওগুলোকে আমরা হাই জিআই ফুড বলি। এগুলো অ্যাভয়েড করাই বেটার। ৫৫ থেকে ৭০ পর্যন্ত জিআই ফুডগুলোকে আমরা বলি মধ্যম জিআই ফুড এবং ৫৫-এর নিচেরগুলো খুবই ভালো। আপনি সেগুলো গ্রহণ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাদা ভাত যেটা রয়েছে, সেটার জিআই ৬৯-৭৭ পর্যন্ত। লাল চাল বা লাল চালের ভাতে রয়েছে ৬৪-৭২ পর্যন্ত। তাহলে বুঝতেই পারছেন, ভাতের মধ্যে কোনটা ভালো। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই লাল চালের ভাত খাবেন। আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে লাল চালের ভাত খেতে হবে।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, রুটির ব্যাপারে যদি বলি, লাল আটার যে রুটি রয়েছে, সেটির কিন্তু ৪৮-৫৬-এর মধ্যে জিআই থাকে। তার মানে বুঝতেই পারছেন, রুটির জিআই কম এবং রুটিতে ফাইবার বেশি থাকে। ৩০ গ্রাম পরিমাণ রুটিতে ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং ৩০ গ্রাম পরিমাণ ভাতের মধ্যে ২৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। রুটিতে আমরা পাচ্ছি তিন গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন এবং ভাতে আমরা পাচ্ছি দুই গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন। ফোলেটের পরিমাণ দুটোতে একই থাকে, কিন্তু রুটিতে ফাইবার অনেক বেশি থাকে। পাশাপাশি রুটিতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন বেশি থাকে। যে কারণে রুটি অনেক উপকারী।
ভাত ও রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।