মশা নিধন ও ডেঙ্গু জ্বরে আমরা কী করতে পারি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিন এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও নাম।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ডেঙ্গু মশা নিধনে আমরা কী করতে পারি, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন ডা. মাহবুবুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। ডেঙ্গু মশা নিধনের জন্য যেটা করা দরকার, আমাদের প্রত্যেকের সচেতনতা দরকার। নাগরিক সচেতনতা খুব প্রয়োজন। ঢাকা শহরের প্রায় প্রত্যেকের বাসায় ফুলের টব আছে এখন। পারিবারিকভাবে টবগুলো আমরা পরিষ্কার করতে পারি। সামাজিকভাবে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। সরকার তো চেষ্টা করছে। সচেতনতাই প্রধান। যদি রোগটা হয়েই যায়, তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা দিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে ডা. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় সাপোর্টিভ সিস্টেমটা ফার্স্ট। কারণ, এটা একটা ভাইরাস থেকে হয়। এ ভাইরাসটা একসময় এমনি এমনি ঠিক হয়ে যাবে। সে জন্য আমাদের প্রথমে ব্লাড টেস্ট করে দেখতে হবে। রক্তের প্লেটলেট কাউন্টটা কত, হিমোগ্লোবিনটা কত, হেমাটোক্রিট কত জানতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে হেমাটোক্রিট বেড়ে যায় এবং এর কারণে প্লাজমা লিকেজ হাইপোটেনশন হয়ে শকে চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্টেপ বাই স্টেপ আমরা ম্যানেজমেন্ট দেব। প্রথমে যদি ডায়াগনসিস করে আমরা অ্যালার্ট হতে পারি, যদি তাঁকে সপ্তাহখানেক রেস্টে রাখি, তাহলে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। মনিটরিং এ ক্ষেত্রে খুব জরুরি।