রমজানে কখন থাইরয়েড ও গ্যাসের ওষুধ খাবেন
সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। রোজার যেমন মানসিক উপকারিতা রয়েছে, তেমনই শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। দিনের বেলায় কম খাদ্য গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। সাধারণ সময়ে অনেকের দু-বেলা গ্যাসের ওষুধ খেতে হয়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ জানব, রমজানে কখন রোগীরা গ্যাসের ওষুধ খেতে পারবেন।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে রমজানে গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলেছেন বিআরবি হসপিটাল লিমিটেডে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট ডা. এম এ বাশার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
রমজানে ইফতারের পর রোগী গ্যাসের ওষুধ কখন খাবেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ বাশার বলেন, আমরা সাধারণত পেপটিক আলসারের ট্রিটমেন্টের জন্য তিন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করি। একটা হলো ওমিপ্রাজল। ওমিপ্রাজল আইডিয়ালি আমরা খাবারের আগে খাই। তবে কিছু কিছু ব্র্যান্ডের ওষুধ আছে, যেগুলো খাওয়ার আগেও খাওয়া যায়, খাওয়ার পরেও খাওয়া যায়। তবে এটা মনে রাখতে হবে, এটা সময় লাগে। আরেকটা হলো, আমার এখন বার্নিং হচ্ছে, আমি কোন ওষুধটি খাব? সেটার উত্তর হলো, আমাদের খেতে হবে এন্টাসিড। এন্টাসিড খেলে সাথে সাথে আমাদের উপশম হবে। সেটা খাওয়ার আগেও খাওয়া যায়, খাওয়ার পরেও খাওয়া যায়। যখন হবে, তখনই আমরা খাব। আর রুটিনলি যদি খাই, তবে খাওয়ার পরে সাধারণত খাই।
ডা. এম এ বাশার বলেন, আরেকটা হলো সুক্রালফেট। আমরা সাধারণত সুক্রালফেট খাওয়ার আগে খাই। সেটা স্টোমাকের ওপর একটা লেয়ার তৈরি করে দেয়, যাতে এসিড স্টোমাকের কাছাকাছি না যেতে পারে, যাতে ড্যামেজ না হয়। সেটা আমরা সাধারণত খাওয়ার আগে খাই। এভাবে আমরা অ্যান্টি-আলসারের ওষুধ খেয়ে থাকি।
আপনি বলছিলেন, ফাস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাইপারটেনশনের ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে উপকারিতা বিষয়টি জানব এবং এই যে অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ মেডিকেশন রয়েছে, সেটির কোনও তারতম্য থাকছে কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ বাশার বলেন, সেটা অ্যাকচুয়ালি ওভাবে ডিফাইন করা নেই। সাধারণত আমরা চেষ্টা করি লং অ্যাক্টিং ড্রাগস দেওয়ার জন্য। সেখানে ওষুধের ডোজ কমিয়ে নতুনভাবে শিডিউল করা হয়। ব্লাড প্রেশার মনিটরিং তো অবশ্যই করা হবে। সাধারণত ডোজটা কম হয়, সেটা সেহরির সময়ও খেতে পারে আবার সকালেও খেতে পারে। তবে ড্রাগসের মধ্যে যদি ডাইরুটিকস থাকে, মানে যে ওষুধে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াবে, সেই ওষুধটা আমরা দিই সেহরির সময়। সেহরির সময় দিই যাতে ঘুমটা নষ্ট না হয়।
আরেকটি বিষয়, যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অনেকেই সকালে ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। সেই ওষুধ তাঁরা কখন গ্রহণ করবেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ বাশার বলেন, সেহরির আগে খাবে। অ্যান্টি-থাইরয়েড ড্রাগস আইডিয়ালি খালি পেটে খেতে হয়। খালি পেটে খেলে তার কার্যকারিতা বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা ঘুম থেকে উঠে ওষুধটা খেয়ে আধা ঘণ্টা পরে সেহরি খেতে পারি।
রমজানের উপকারিতা সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।