সুপারফুড ডিম, তবু খেতে কেন ভয়?
ডিমের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। ডিম ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রনের ভালো উৎস। ডিম খেলে শরীরে মিনারেল ও ভিটামিনের চাহিদার অনেকটাই পূরণ হয়। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২। এগুলো শরীরের জন্য খুবই জরুরি।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান বলেন, ডিমকে বলা হয় সুপারফুড। কারণ, ডিমে ভিটামিন সি ছাড়া আল্লাহ প্রদত্ত পৃথিবীতে যত ধরনের ভিটামিন আমাদের শরীরে দরকার, সবই আছে। প্রথমেই আসব ডিমে যতগুলো ভিটামিনের কথা বলছি, সেগুলো সবই আমাদের শরীরের জন্য দরকার। যেহেতু ডিমের উপরে একটা লেয়ার থাকে, যেটাকে আমরা অ্যালবোমিন বা প্রোটিনের অংশ বলি; বা ডিমের ভেতরে যে গোল অংশটা থাকে, কুসুম থাকে, সেটার মধ্যে কিন্তু... যত ধরনের ভিটামিন আছে, সেগুলো থাকে।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান আরও বলেন, সবচেয়ে সস্তা এবং সহজলভ্য প্রোটিন হচ্ছে ডিম। কেন ডিম নিয়ে আমাদের এত ভীতি থাকে? কারণ, অনেকে মনে করে থাকেন, ডিমের মধ্যে যে কোলেস্টেরল আছে, সেটা আমাদের হার্টের জন্য খারাপ। কিন্তু রিসেন্টলি রিসার্চে দেখা যাচ্ছে, গবেষকেরা বলছেন, এই যে কোলেস্টেরলটা আছে সেটাই কিন্তু আমাদের হার্ট-ফ্রেন্ডলি। কারণ, কোলেস্টেরল ইটসেলফ আমাদের বডিতে তৈরি হয়। আমাদের শরীরে যত লেয়ার আছে, কোষ আছে, যে মেমব্রেনগুলো আছে, এগুলো কিন্তু কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি। সো, আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের প্রয়োজন কিন্তু আছে। আর একটা ডিমের কুসুমে যতটুকু কোলেস্টেরল আছে, তার চেয়ে বেশি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন এই কোলেস্টেরলে ভীত হওয়ার কিছুই নেই।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহানের ভাষ্য, তবে যাদের ফ্যাটি লিভার আছে, হার্টের প্রবলেম আছে, হার্টে ব্লক আছে বা হাইপারটেনশনের প্রবলেম আছে, তারা কিন্তু অবশ্যই তাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নেবেন, কতটুকু আসলে খেতে পারবেন, ডিম কয়টা খেতে পারবেন এবং কুসুমটা খেতে পারবেন কি না।
ডিমের পুষ্টিগুণ এবং কারা ডিম খেতে পারবেন আর কারা পারবেন না, তার বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।