হেপাটাইটিস বি টিকা কারা নিতে পারবে
অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত। জন্ডিস আসলে কোনও রোগ নয়, এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ। এটি প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচি রয়েছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব হেপাটাইটিস বি টিকা কারা নিতে পারবে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ সম্পর্কে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক এবং হেপাটোলজি ও লিভার বিভাগের প্রধান ডা. ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
হেপাটাইটিস বি বা এ ধরনের ভাইরাসে যাতে আমরা আক্রান্ত না হই বা আক্রান্ত হলেও যাতে সিভিয়ার আকার ধারণ না করে, এজন্য তো বিরোধীকরণ টিকাদান কর্মসূচি পালন করা হয়। আপনি বলছিলেন, এটিকে নির্মূল করার ব্যাপারে বেশ কিছু কর্মসূচিও সামনে আসছে। তো এই ধরনের টিকাদান কর্মসূচি কতটা যুক্তিযুক্ত, কারা গ্রহণ করতে পারবেন, কতটি নেওয়া হয়, একটু যদি বিস্তারিত বলতেন; সঞ্চালকের এ কথার জবাবে অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, টিকা দেওয়ার ব্যাপারে দুটি বিষয় আছে। একটি হলো আমাদের দেশের ইপিআই শিডিউলে এখন হেপাটাইটিস বি-র টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৪ থেকে শুরু হয়েছে। এই টিকা দেওয়ার মাধ্যমে যেটা হয়, যাদের জন্মের এক থেকে দেড় মাস পর থেকে পরপর তিনটি ডোজ দেওয়া হয়, এই ডোজের সাথে হেপাটাইটিস বি-র টিকাও পেয়ে থাকে। একটি সমস্যা হচ্ছে যে এর মাধ্যমে, যদি আগে থেকেই হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত মায়ের সন্তান হয়ে থাকে, তাহলে সে এটাতে লাভবান কম হতে পারে। সে হয়তো জন্মের সময়ই তার মায়ের কাছ থেকে এ ভাইরাসটি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে দেড় মাস পর টিকা দিয়ে এই শিশুর কিছুটা লাভ কম হতে পারে, যদি ইতোমধ্যে ভাইরাস তার মধ্যে ঢুকে গিয়ে থাকে।
ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা যেটির দিকে জোর দিচ্ছি, এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। ইপিআইয়ের মাধ্যমে যে তিনটি ডোজ দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে আমরা ভালো রেজাল্টও পেয়েছি। এজন্য বর্তমান সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরস্কৃত হয়েছেন। এটার পাশাপাশি আমরা যেটা চাচ্ছি, সেটা হচ্ছে বার্থ ডোজ ভ্যাকসিনেশনটাকে ইনস্টল করা। জন্মের পরপরই যদি শিশুকে টিকা দেওয়া যায়, পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে এটা চালু হয়েছে, তাতে করে যারা জন্মের সময় বিভিন্ন... ডেলিভারিতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় বা আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এ ক্ষেত্রে তারা ভালো প্রোটেকশনে থাকবে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।