কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সকালের নাস্তায় যা খাবেন
নাস্তায় আমরা সাধারনত রুটি, পরাটা, সবজি, মাখন টোস্ট খেয়ে থাকি। এগুলো হয়ত সুস্বাদু খাবার। তবে এসব খাদ্য আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ থাকলে এসব খাবার সকালের নাস্তায় এড়িয়ে চলুন। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি সকালে যা খান তা আপনাকে সারাদিনের জন্য শক্তি দেবে। এ সময় প্রোটিন, উচ্চ ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি উপাদানগুলো আপনার সকালের নাস্তায় রাখার চেষ্টা করুন।
পুষ্টিবিদ সাক্ষী লালওয়ানি, এইচটি লাইফস্টাইলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সকালের নাস্তার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তার মতে, স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ওটমিল
ওটস বা ওটমিল স্বাস্থ্যকর খাবার। এটিকে সুস্বাদু ব্রেকফাস্ট রেসিপিতে পরিণত করা যেতে পারে। আম, আপেল, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা কলার মতো আপনার প্রিয় মৌসুমি ফলগুলো যোগ করুন। আবার ওটস ফ্রুট স্মুদিও বানিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা মুক্ত রাখবে। আপনার পাচনতন্ত্রকে ভাল রাখবে। ওটসে দ্রবণীয় ফাইবারও থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম, স্ক্র্যাম্বল ডিম, ডিম স্যান্ডউইচ, ডিমের সালাদ, সবজির সাথে অমলেট খেতে পারেন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি। যা স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ফলটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে পরিপূর্ণ। যা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি। নাস্তায় অ্যাভোকাডো খেলে অন্যান্য খাবারের প্রতি আপনার লালসা কমিয়ে দিবে।
বেরি
বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ফাইবারে পূর্ণ। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। বেরি ওটমিলে যোগ করে খেতে পারেন। অথবা স্মুদি হিসেবেও পান করতে পারেন।
দই
দই প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। এটি আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে। ফল, বাদাম, ভেষজ বা মধু দিয়ে এটিকে আরও স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু করতে পারেন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস