বাম কাত হয়ে ঘুমানো কেন ভালো?
আপনি হয়তো জেনে আশ্চর্য হবেন, কোন দিকে কাত হয়ে ঘুমাবেন, সেটার ওপর নির্ভর করে আপনার খাদ্যের হজম কেমন হবে- ভালো না খারাপ? আপনি হয়তো নিজের আরাম মতো ঘুমাতে পছন্দ করেন। তবে জেনে রাখুন, বাম কাত হয়ে ঘুমানোর রয়েছে অনেক ভালো দিক- এটা অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাম কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করা ভালো। ‘দ্য স্লিপ ডক্টরস ডায়েট প্ল্যান : লুজ ওয়েট থ্রু বেটার স্লিপ’-এর লেখক ডা. মাইকেল ব্রুস জানান, এভাবে ঘুমানোর অভ্যাস শরীরে রক্ত চলাচলকে সচল রাখতে ভালো কাজ করে এবং ঘুম ভেঙে আপনি বেশ ফুরফুরে অনুভব করবেন। লাইফ সাইট ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে বাম কাত হয়ে ঘুমানোর কিছু উপকারিতার কথা।
জটিল রোগ প্রতিরোধ করবে
বাম কাত হয়ে ঘুমালে শরীর থেকে লিম্পেথেটিক ড্রেনেজের (লসিকানালি) মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন দূর হয়। জমাকৃত টক্সিন বের হওয়ার ফলে শরীরে অনেক জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এভাবে শোয়া লিম্পেথেটিক কার্যক্রমকে ভালো রাখে।
কিডনি ও লিভারের কার্যক্রম
লিভার ও কিডনি শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।এভাবে শোয়া কিডনি ও লিভারে জমাকৃত বর্জ্য পদার্থ সহজে বের করে দিতে সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য করে
বাম কাত হয়ে ঘুমালে পাকস্থলি ও প্যানক্রিয়াস স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে পারে। এটা খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে।প্যানক্রিয়াস থেকে প্যানক্রিয়াটিক এনজাইম যখন দরকার হয় বের হতে পারে। মধ্যাকষর্ণের ফলে খাবারগুলো ভালোভাবে নড়াচড়া করতে পারে। ফলে খাবার ভালোভাবে হজম হয়।
বাউয়েল মুভমেন্ট
আমরা যখন বাম কাত হয়ে ঘুমাই তখন মধ্যাকর্ষণের কারণে খাবার ক্ষুদ্রান্ত থেকে বৃহদন্তে সহজে যেতে পারে। ফলে সকালবেলা ভালোভাবে মলত্যাগ হতে সাহায্য করে।
হার্টকে ভালো রাখে
বাম কাত হয়ে ঘুমালে হার্টের কাজের চাপ কমে। হার্টে রক্ত চলাচল ভালো হয়। ফলে হার্ট ভালো থাকে।
এসিডিটি ও বুক জ্বালাপোড়া দূর করে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাম কাত হয়ে শোয়া এসিডিটি হতে দেয় না। এটি বুক জ্বালাপোড়াও রোধ করে।
ক্লান্তি কাটায়
বাম কাত হয়ে ঘুমালে গলব্লাডার এবং লিভার স্বাভাবিকভাবে ঝুলে থাকে। হজম শক্তি কম খরচ হয়। তাই এটা সকালের ক্লান্তি কাটায়। ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে হজমে সমস্যা হতে পারে।
চর্বিযুক্ত লিভার প্রতিরোধে সাহায্য করে
লিভার এবং গলব্লাডার থেকে এক প্রকার রস নিঃসরণ হয়।এটি চর্বিকে ইমালসিফিকেশন পদ্ধতির মাধ্যমে হজমে সাহায্য করে। বাম কাত হয়ে শুইলে লিভার ও ব্লাডারের নিঃসরণ বাড়ে এবং চর্বি কেটে যেতে সাহায্য করে। এটা চর্বি জমা হওয়া প্রতিরোধ করে এবং চর্বিযুক্ত লিভার হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।