তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেকিং সোডার ৪ ব্যবহার
বিউটিশিয়ান শেহনাজ হোসেন ইন্ডিয়া ডট কমের এক সাক্ষাৎকারে বেকিং সোডার উপকারিতার কথা বলেছেন। বেকিং সোডাকে একটি বিস্ময়কর উপাদান বলা যেতে পারে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে এটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন- গন্ধ অপসারণ, ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং দংশনের চিকিত্সার কাজে। এগুলি ছাড়াও বেকিং সোডা সৌন্দর্য বৃদ্বির জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
শেহনাজ হোসেনের মতে, স্কিনকেয়ার রুটিনে বেকিং সোডা ৪টি সহজ উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
১। বেকিং সোডা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটি ব্ল্যাকহেডস এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট করুন। এবার ব্ল্যাকহেডস এবং পোরসগুলোতে পেস্টটি লাগান। ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এটি ত্বকের শুধু তৈলাক্ততা কমায় না, ছিদ্রও পরিষ্কার করে। এ ছাড়া, ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে বেকিং সোডা।
২। বেকিং সোডার ফেস প্যাক ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধ করতে পারে। একইভাবে ব্রণ প্রতিরোধ করতে কার্যকর। এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং দুই চা চামচ ওটস নিন। এতে এক টেবিল চামচ গোলাপ জল যোগ করুন। এবার প্যাকটি লাগান। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। ব্রণ এবং ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সপ্তাহে দুইবার এটি মুখে লাগান।
৩। স্কিন ক্লিনজিং ট্রিটমেন্টের জন্য বেকিং সোডা বেশ কার্যকর। তাজা কমলার রসের সাথে সোডা মিশিয়ে পেস্ট করুন। এই পেস্ট ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করবে। ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। এটি ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে।
৪। বেকিং সোডা কালো দাগ এবং ব্রণের দাগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। লেবুর রস আর বেকিং সোডা একসাথে মেশান। এবার দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন। ২ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি মুখে লাগান। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে দাগ হালকা হয়ে যাবে।
সুত্র : ইন্ডিয়া ডট কম