কর্মক্ষেত্রে ডেঙ্গু প্রতিরোধের চার উপায়
দিন দিন ডেঙ্গু বেড়েই চলছে। হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী। বর্ষাকালে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যায়। এটি একটি তীব্র সংক্রামক রোগ। মশার মাধ্যমে ছড়ায় বলে, আমাদের সব সময় চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা যেকোনো জায়গায় প্রজনন করতে পারে । কর্মক্ষেত্রও এর ব্যতিক্রম নয়। এয়ার কন্ডিশনার, ড্রেন, বাথরুম, পার্কিং এরিয়া সবই মশার প্রজনন ক্ষেত্র। এ ছাড়াও, অনেক অফিসে বায়ুচলাচলের অভাব রয়েছে। এতে ডেঙ্গুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
ইন্টারন্যাশনাল এসওএস-এর ভারতের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. সমীর দ্বিবেদী বলেন, “ডেঙ্গু কমাতে কর্মক্ষেত্রে মশা নিয়ন্ত্রণ ও সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কর্মীদের মধ্যে রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি করতে হবে”।
মশার প্রজনন স্থান নির্মূল করা
অফিসে জমে থাকা পানির উৎস পরিদর্শন করতে হবে। যেমন- ফুলের পাত্র, ফুলদানি, বালতি ইতাদি। এসব পানির উত্সগুলো খালি রাখাই ভাল। এ ছাড়া, এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজন হলে ঢেকে রাখা উচিত। এতে মশার প্রজনন রোধ করা যাবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বিশৃঙ্খলামুক্ত রাখুন। আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন। নোংরা পরিবেশ মশার প্রজনন স্থান হয়ে ওঠতে পারে।
মশা নিরোধক ব্যবহার করা
অফিসের কর্মীদের ডিইইটি, পিকারিডিন বা অন্যান্য উপাদানযুক্ত মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করতে উত্সাহিত করতে হবে। সবার ডেস্কে মশা নিরোধক রাখতে বলুন । মশার কামড়ের ঝুঁকি কমাতে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরুন।
সচেতনতা বৃদ্ধি
অফিসের কর্মীদের মাঝে ডেঙ্গু প্রতিরোধের সচেতনতা বাড়িয়ে তুলুন। তাদেরকে প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সার ব্যাপারে সচেতন করুন।
ড. দ্বিবেদী আরও জানান যে, “মনে রাখবেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়নে কর্মচারী, ম্যানেজমেন্ট এবং ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট টিমকে এক সাথে কাজ করতে হবে। এতে কর্মক্ষেত্রে ডেঙ্গু-সচেতন পরিবেশ তৈরি করা যায়। এভাবেই কর্মক্ষেত্রে সকলের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব”।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস