কিউই বোলারদের নাম নয়, বল দেখে খেলেছেন মাহমুদুল
বোলিং আক্রমণে বিশ্বের অন্যতম সেরা নিউজিল্যান্ড। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়্যাগনারদের মতো তারকাদের দাপটেই ছুটে চলছে দলটি। অথচ সে বোলারদেরই তাঁদের মাটিতে কঠিন পরীক্ষা নিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে তরুণ মুখ মাহমুদুল হাসান জয়।
২৯২ মিনিট উইকেটে ছিলেন মাহমুদুল। এ সময়ে মোকাবিলা করেছেন কিউইদের বোলিং আক্রমণ। নিউজিল্যান্ডের এ বোলিং সামলাতে স্রেফ নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলেছেন তিনি। ৭৮ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেওয়া মাহমুদুল জানালেন, কিউই বোলারদের নাম দেখে খেলেননি, শুধু বল দেখেই খেলেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা মাহমুদুল।
আজ সোমবার প্রথম সেশনে ৭৮ রানে মাহমুদুলের প্রতিরোধ ভাঙে নিউজিল্যান্ড। তিনি ফিরলেও মুমিনুল ও লিটনের ব্যাটে এরই মধ্যে ৭৩ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ।
স্বস্তির দিন শেষে বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় মাহমুদুল বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড দলের পেস বোলিং আক্রমণ বিশ্বসেরা। ওরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দল। আমি এ ক্ষেত্রে আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছি। ওদের বোলারদের নাম দেখে না খেলে, বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি।’
এরপর নিজের পরিকল্পনা নিয়ে তরুণ এ ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল রানের দিকে না গিয়ে, বেশি বেশি বল খেলার। আমি বেশি বল খেলতে পারলে, রান এমনিতেই আসবে। আমার সঙ্গী যারা ছিলেন—সাদমান ভাই, শান্ত ভাই, মুমিনুল ভাই—সবাই একই কথা বলেছে। এটাই ছিল উইকেটে শান্ত থাকার কারণ।’
‘পরিকল্পনা তেমন কিছু ছিল না। মূল ম্যাচের আগে যে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলেছি, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে। সেখানে আমি খেলার সুযোগ পাই এবং মোটামুটি ভালোই করি। সেখান থেকেই আমি আত্মবিশ্বাস পাই, যেটা মূল ম্যাচে মোটামুটি পারফর্ম করতে সাহায্য করেছে।’
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পেয়েছি। আমি যে নতুন দলে এসেছি সে চাপটা আমি অনুভব করিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই আমাকে সাহায্য করেছে। ব্যাটিংয়ের শুরুর দিকে আমার আর সাদমান ভাইয়ের পরিকল্পনা ছিল যে, নতুন বলটা কীভাবে পুরনো করা যায়, আর বল বাই বল খেলা। এভাবেই বাকি সময় খেলা।’