গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত জামাল শেখের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত জামাল শেখের বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লোহারংক গ্রামে। তিনি বিজয়ী মেম্বার জাকির দাড়িয়ার সমর্থক।

গত বুধবার উপজেলার হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী মুসা বিশ্বাসের সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থী জাকির দাড়িয়ার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। হামলায় জামাল শেখ (৬৫), জিহাদুল শেখ (৪০), মন্টু শেখ (৫৫), লায়েক শেখ (৫৫) রিপন শেখ (৩০), রেক্সোনা বেগম (৩০), হাসিবুর শেখ (২৫), সাইদুল ইসলামসহ (৩২) কয়েকজন আহত হয়।

আহতদের প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখানে গুরুত্বর আহত জামাল শেখের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আজ দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল শেখ মারা যান।

নিহত জামাল শেখের ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পরের দিন বৃহস্পতিবার পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মুসা বিশ্বাসের লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এই হামলায় আমার ভাই নিহত হয়েছেন।

বিজয়ী মেম্বার পদপ্রার্থী জাকির দাড়িয়া বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষ মুসা বিশ্বাসের লোকজন আমার সমর্থকদের মারধর ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। তাদের মারধরে জামাল শেখ নামে আমার এক সমর্থক নিহত হয়েছেন । আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানার জন্য মুসা বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.  জিল্লুর রহমান নিহত জামাল শেখের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, নিহত জামাল শেখের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।