স্মিথের হাতে আইসিসির দুটো পুরস্কার
টানা তৃতীয় বছরের মতো আইসিসি বর্ষসেরা পুরস্কার উঠেছে কোনো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের হাতে। মাইকেল ক্লার্ক ও মিচেল জনসনের পর ২০১৫ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কারও উঠেছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের হাতে। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স।
স্মিথ এ বছরের শুরুটা করেছিলেন শতক দিয়ে, ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে। এ বছর ১২টি টেস্ট খেলে পাঁচটি শতকসহ ১,২৭০ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতেও মাইকেল ক্লার্কের উত্তরসূরি দারুণ সফল। ১৯টি ওয়ানডে খেলে ৫৩.৬৬ গড়ে স্মিথের সংগ্রহ ৮০৫ রান। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ের মধুর স্বাদ তো আছেই। রিকি পন্টিং, ক্লার্ক ও জনসনের পর চতুর্থ অস্ট্রেলীয় হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার উঠল তাঁর হাতে।
আবারো বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার নির্বাচিত ডি ভিলিয়ার্সেরও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত কেটেছে ২০১৫ সাল। এ বছর ২০টি ওয়ানডে খেলে পাঁচটি শতকসহ ১,১৯৩ রান করেছেন তিনি। বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একই ম্যাচে দ্রুততম অর্ধশতক ও শতকের রেকর্ড গড়ার কৃতিত্বও প্রোটিয়াদের ওয়ানডে অধিনায়কের। ১৮ জানুয়ারি জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ১৬ বলে অর্ধশতক করার পর মাত্র ৩১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
ওয়ানডেতে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকের তালিকায় ডি ভিলিয়ার্সের অবস্থান তৃতীয়। তাঁর সামনে আছেন নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন (১,৩১৭) ও মার্টিন গাপটিল (১,২৮৭)। তবে ব্যাটিং গড় ও স্ট্রাইকরেটে সবচেয়ে এগিয়ে সতীর্থদের প্রিয় ‘এবি’। এ বছর ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং গড় ৭৯.৫৩, আর স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৯১।
আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার জশ হেজেলউড। এ বছর ১১টি টেস্ট খেলে ৫০টি উইকেট শিকার করেছেন এই তরুণ ডানহাতি পেসার। ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার জিতেছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সেরা নারী ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং, আর সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে বর্ষসেরা ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাতের খুররাম খান।