সিনিয়র-জুনিয়র কিংবা যেকোনো পর্যায়ে এতটা ফেভারিটের তকমা পেয়ে বৈশ্বিক আসর শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ, যতটা ফেভারিট তকমা নিয়ে শুরু করবে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। আজ রোববার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যুব বিশ্বকাপে এবারের মিশন শুরু করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।

শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে খুব কঠিন দলকেই পেল বাংলাদেশ। তবুও গেলবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এগিয়ে থেকেই লড়াইয়ে নামবে লাল-সবুজের দল। সেন্ট কিটসে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিটিভিতে সরাসরি দেখা যাবে ম্যাচটি।

মূল পর্বের আগে প্রস্তুতিতে ভালোই সেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রস্তুতি পর্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে রাকিবুল হাসানের দল। সবমিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট-কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে বিশ্বকাপের অভিযানে নামবে বাংলাদেশ দল।

বয়সভিত্তিক এ দলটিকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশা গত কয়েক বছর ধরেই অনেক আশা জাগানিয়া। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তৃতীয় হয় মেহেদী মিরাজের দল। এরপর ২০২০ সালে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে আকবর আলীর বাংলাদেশ। যে কোনো ফরম্যাটে বা যে কোনো বিভাগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য যেটি। সেই শিরোপা ধরে রাখতে এবার রাকিবুলরা নামবেন এবারের আসরে।

গত আসরের শিরোপাজয়ী দলেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন রাকিবুল। এবার তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশকে। সবমিলে অভিজ্ঞ রাকিবুল বাংলাদেশকে ভালো ফল এনে দিতে মরিয়া।

ররাকিবুল বলেন, ‘খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামব। এখানে আসার পর আমরা অনুশীলন করেছি, প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। এখানকার উইকেট-কন্ডিশন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা হয়েছে আমাদের। এখন আমাদের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা যদি শতভাগ দিয়ে খেলতে পারি এবং সেরাটা দিতে পারি, তাহলে ভালো ফল পাব আশা করি।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আপাতত আমাদের মনোযোগ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। এটির পর আমরা এক এক করে সামনে তাকাব এবং আশা করি ভালো ফল নিয়ে পরের রাউন্ডে যাব।’

বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে ইংল্যান্ড ছাড়া অন্য দুই প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত ও কানাডা। আগামী ২০ জানুয়ারি কানাডা ও ২২ জানুয়ারি আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তবে, এ দুইটি ম্যাচ টিভিতে সরাসরি দেখা যাবে না।