তারপরও আলোচনায় থাকেন যে বাংলাদেশি ক্রিকেটার
প্রায় তিন বছর আগে প্রথম জাতীয় দলে ডাক পান ইয়াসির আলী রাব্বি। চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ঘুরে এসেও গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত গত বছর নভেম্বরে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপান পাকিস্তানের বিপক্ষে। কিন্তু এখানেও বিধিবাম। পুরো ম্যাচ খেলা হয়ে ওঠেনি তাঁর চোটের কারণে।
মাথায় বল লাগায় মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে। সেই সময় রাব্বি ৭২ বল খেলে ৩৬ রান করেছিলেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র, একমাত্র টেস্টে জয়ের সাক্ষী হন রাব্বি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রাব্বি দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে, একেক সময় একেক দেশে, একেক ফরম্যাটে তিনি অপেক্ষা করেছেন জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য।
২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত টেস্ট ব্যর্থ সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে টানা ১০ ইনিংস ২৫০ রানও স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ দল, আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘরের মাটিতে টেস্ট হেরেছে, এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইয়াসির আলী রাব্বির গড় ৫০-এর কাছাকাছি। খেলেন মিডল অর্ডারে, কিন্তু কাঙ্খিত ডাক তিনি পেয়েছেন দলে ডাক পাওয়ার আড়াই বছরের বেশি সময় পর।
চলমান বিপিএলে বাংলাদেশে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রাব্বি। খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলছেন এই ব্যাটসম্যান।
২০১৯ সালে ইএসপিএনক্রিকিনফোর করা বিপিএলের সেরা একাদশেও জায়গা করে নিয়ে ছিলেন রাব্বি।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে এরই মধ্যে নয়টি সেঞ্চুরি করেছেন রাব্বি। টি-টোয়েন্টির ঘরোয়া লিগগুলোতে ৮টি ফিফটি করেছেন, যেখানে হাঁকিয়েছেন ৫৩টি ছক্কা।