রশিদ-নবীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন নাসুম
দুদিন আগেই ওয়ানডেতে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছিলেন রহমতউল্লাহ গুরবাজ। আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠা সেই গুরবাজকেই আজ টিকতেই দিলেন না নাসুম আহমেদ। এরপর তুলে নিলেন হজরতউল্লাহ জাজাই, দারউইশ রাসুলি ও করিম জান্নাতকে। বাঁহাতি এই স্পিনারের দিনে বড় পরাজয় সঙ্গী হয়েছে আফগানিস্তানের।
অবশ্য নাসুমের দাপুটে বোলিংয়ের দিনে হেরে গেলেও ম্যাচ শেষে তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আফগান ক্রিকেটাররা। রশিদ-নবীদের শুভেচ্ছায় খুশির জোয়ারেও ভেসেছেন নাসুম নিজেও। ম্যাচ শেষে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে মুঠোফোনে সেই খুশির কথাই শেয়ার করলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
নাসুমের ভাষায়, ‘দেশ জিতেছে এটাই অনেক ভালো লাগার। সবচেয়ে ভালো লেগেছে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা সবাই ম্যাচ শেষে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রশিদ-নবী কাছে এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমার বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন। এটা আসলে অনেক আনন্দ দিয়েছে আমাকে। চেষ্টা করব পরের ম্যাচেও এই ছন্দ ধরে রাখতে।’
পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট মূলত আফগানিস্তানকে বিপদে ফেলে দেন নাসুম। সেই বিপদ কাটিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অতিথিরা। নাসুমের পর শরিফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানদের বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৯৪ রানে গুঁটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশ পায় ৬১ রানের বিশাল জয়। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট নেন নাসুম।
দলের জয়ে ভূমিকা রাখা নাসুম বললেন, ‘দল থেকে যেভাবে বলা হয়েছিল সেভাবেই নিজের বোলিংটা করার চেষ্টা করেছি। প্রথম বলটা করার পর কিছুটা নার্ভাস ছিল। তবে পরে সেটা কেটে গেছে। দল থেকে আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না। আমাদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ভাই আমাকে নির্ভার রেখেছেন। কোনো রকম প্রেশার দেননি। কিছু বলেননি, নিজের মতো বোলিং করতে বলেছেন শুধু। আমি সেভাবেই চেষ্টা করেছি। আসলে ভালো করার চিন্তা সবসময়ই থাকে। চিন্তা থাকে উইকেট নেওয়ার। আজ ম্যাচের আগে চেয়েছিলাম, ৫ উইকেট নিতে। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে ৪ উইকেট নিয়েও আমি খুব খুশি। সবচেয়ে বড় কথা আমি দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পেরেছি।’
আজ বৃহস্পতিবার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬১ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই সংস্করণে রানের দিক থেকে আফগানদের চতুর্থ বড় ব্যবধানের হার এটি। এর চেয়ে বড় হার কেবল তিনটি আছে সফরকারীদের।
নাসুম ছাড়াও বল হাতে বড় ভূমিকা রেখেন শরিফুল-সাকিবরা। ১৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। ১৯ রান দেওয়া মুস্তাফিজের শিকার একটি।
ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন লিটন দাস। ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরিতে ৪৪ বলে লিটন উপহার দিয়েছেন ৬০ রানের ইনিংস। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইল লাল-সবুজের দল।