মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ কথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অবকাশকালীন ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। গতকাল সোমবার রাতে তিনি দেশে ফেরেন। 
 
মাহবুবে আলম বলেন, ‘সাঈদীর রায় পর্যালোচনা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা হবে। রিভিউতে সাঈদীর ফাঁসির জন্য আবেদন করা হবে।’ 

‘এ ছাড়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের রায় আগামীকাল বুধবার প্রকাশ করা হবে। আশা করি তাঁর ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল থাকবে’, যোগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
   
গত ৩১ ডিসেম্বর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের পাঁচ  বিচারপতির স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়। রায়টি ৬১৪ পৃষ্ঠার।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা যাবে। 
 
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। অন্য চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
 
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। 

রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। সহিংসতায় প্রথম তিন দিনেই ৭০ জন নিহত হন। এই মামলায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলা আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হলো।