নিজামীর রায়ে গণজাগরণ মঞ্চের উল্লাস
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিল বিভাগও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখায় উল্লাস প্রকাশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। রায় ঘোষণার পর চিৎকার করে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা।
নিজামীর আপিলের রায় ঘোষণার আগে আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে জড়ো হতে থাকেন মঞ্চের কর্মীসহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। রায় শোনার পর দুই আঙুল উঁচিয়ে বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে বিজয় উদযাপন করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’সহ বিভ্ন্নি স্লোগান দেন।
urgentPhoto
এ সময় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘মতিউর রহমান নিজামী শুধু একজন যুদ্ধাপরাধী নয়। সে রাষ্ট্রদ্রোহীও। কারণ, স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পরও বাংলাদেশের বিরোধিতা করে কাজ করেছে। বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছে। এ ছাড়া আমরা সরকারকে বলতে চাই, শুধু নিজামী নয়, পাকিস্তানি যে ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী আছে তাদেরও বিচার করতে হবে।’
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে দেশে ফেরত পাঠানোকে পাকিস্তানের ধৃষ্টতা বলে মন্তব্য করেন ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, ‘এই ধৃষ্টতামূলক কাজের প্রতিবাদ জানাতে হবে। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি কূটনীতিকদের পিআইএর ফ্লাইটে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে তাদের ধৃষ্টতার জবাব দিতে হবে।’
যাঁরা পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতিবিদ, আজকের রায় তাঁদের জন্য চপেটাঘাত বলেও মন্তব্য করেন গণজাগরণ মঞ্চের এই মুখপাত্র। অবিলম্বে রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি। এ রায় সারা দেশের মানুষের মধ্যে সন্তোষ ফিরিয়ে এনেছে বলেও মনে করেন ডা. সরকার।
এর আগে আজ সকাল ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ নিজামীর এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ কার্যদিবসে আপিল মামলাটির শুনানি হয়।