নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ট্রাস্টিকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চার সদস্যের আগাম জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। ওইদিন ওই চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে আদালতে হাজির থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আইনজীবী মিজান সাঈদ একদিনের সময় আবেদন করলে আদালত আগামী রোববার দুপুর ২টার সময় জামিন শুনানির নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত ওই দিন আসামিদের হাজির থাকতেও নির্দেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনকারী এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, বেনজীরের পক্ষে ছিলেন এএফ হাসান আরিফ, আর শাহজাহানের পক্ষে ছিলেন ফিদা এম কামাল।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ মোর্শেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
গত ৫ মে দুদক কার্যালয়ে মামলা করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—নর্থ সাউথের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দীন আহমেদ, আশালয় হাউজিংয়ের আমিন মো. হিলালী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কিছু সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে নয় হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান বা গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন আসামিরা।
পরে নিজেদের লোকজনের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন তাঁরা। এরপর সেই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।