আবার মেসির হাতে ফিফা ব্যালন ডি’অর?
গত বছর একেবারে স্বপ্নে মতো কেটেছিল বার্সেলোনার। ২০১৫ সালে পাঁচটি শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠা বার্সার অসাধারণ সাফল্যের প্রধান স্থপতি যথারীতি লিওনেল মেসি। নিজে গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা দলকে ভাসিয়ে দিয়েছেন আনন্দের জোয়ারে। তার পুরস্কারই হয়তো পেতে যাচ্ছেন বার্সার ‘খুদে জাদুকর’। অনেক ফুটবল-বোদ্ধার ধারণা, সোমবার রাতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে আবারও ফিফা ব্যালন ডি’অর মেসির হাতে উঠতে যাচ্ছে।
ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার আর বিখ্যাত ফুটবল ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়ে ২০১০ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার ফিফা বর্ষসেরার মুকুট উঠেছিল মেসির মাথায়। গত দুবার মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জিতেছিলেন এই পুরস্কার। এবার তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় দুই ফুটবলার-মহাতারকার সঙ্গে আছেন নেইমার।
তবে পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মেসিই সবচেয়ে এগিয়ে। চোটের কারণে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রায় দুই মাস মাঠে নামতে পারেননি। তবু ২০১৫ সালে বার্সার জার্সিতে ৪৮ গোল করেছেন মেসি। তাই গত মৌসুমে স্প্যানিশ লা লিগা, কোপা দেল রে আর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ইউরোপের প্রথম ক্লাব হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ের আনন্দে ভেসে গিয়েছিল বার্সেলোনা।
রোনালদোর ব্যক্তিগত সাফল্যও অবশ্য কম নয়। গত বছর মেসির চেয়েও বেশি, ৫৪ গোল করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা। তা-ও মাত্র ৫২ ম্যাচে। তবে স্পেনের সফলতম ক্লাবকে একটি শিরোপাও এনে দিতে পারেননি রোনালদো।
সংক্ষিপ্ত তালিকার তৃতীয় ফুটবলার নেইমারের অবদানও কম নয় বার্সার অসাধারণ সাফল্যের পেছনে। ২০১৫ সালে ৪১ গোল করেছিলেন ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড। যার মধ্যে কয়েকটি গোল ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
তবু সব দিক বিবেচনায় মেসি সবচেয়ে এগিয়ে। বার্সেলোনার সাবেক অধিনায়ক কার্লোস পুয়োলের দৃঢ় বিশ্বাস, তিন বছর পর ফিফা ব্যালন ডি’অর ফিরে পাচ্ছেন কাতালানদের সবচেয়ে বড় তারকা। বার্সেলোনার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে কথা বলেছেনও পুয়োল, ‘কী হবে তা তো আগে থেকে বলা যায় না। তবে মেসি এবার ব্যালন ডি’অর জিততে না পারলে বিরাট বিস্ময়ের জন্ম হবে। ভীষণ অন্যায়ও হবে। আসলে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের হাতে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর দেখতে পাওয়ার কল্পনা করাই খুব কঠিন। সবচেয়ে বড় কথা, লিও মেসি কালকেই অবসর নিচ্ছে না। সোমবার সে যদি পুরস্কার পায় আর এভাবে খেলা চালিয়ে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আরো পুরস্কার জিততে পারবে।’