মৎস্য, পোল্ট্রি ও গোখাদ্যের দাম কমতে পারে
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পোল্ট্রি, মৎস্য ও গোখাদ্য প্রস্তুতে কাঁচামালের আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কমতে পারে প্রাণিখাদ্যের দাম।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের খাবার প্রস্তুতে হোয়াইট গ্লুটেন ব্যবহার হয়। বর্তমানে উক্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। এবার বাজেটে এই পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া গোখাদ্য তৈরিতে সুগারকেইন মোলাসেসের চাহিদা রয়েছে। তাই, গোখাদ্যের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ওই পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাশাপাশি মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের খাদ্যসামগ্রী ও নানা উপকরণ আমদানিতে বিগত সময়ে প্রদত্ত শূন্য শুল্কহার এবং অন্যান্য হারে রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
এ ছাড়া তিনটি নতুন উপকরণ—পোল্ট্রিতে ব্যবহৃত টেস্ট কিট, মোলাসেস ফুড গ্রেড, ক্যান মোলাসেস ফুড গ্রেডের ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘কোভিড অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’।
নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এর ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়। অনুদান বাদে এ বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। আর অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।
এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। এবার বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।