সড়ক ও রেলে বরাদ্দ বাড়ছে
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ বাজেটে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক খাতে বরাদ্দ বাড়ছে। ত্রিশ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ফলে বাড়ছে রেলের বরাদ্দও। তবে, সেতু বিভাগের জন্য নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ কিছুটা কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ৩১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট উন্নয়ন বরাদ্দের ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে দেশের সব মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তারা দেড় কিলোমিটারের কম সব সেতুও নির্মাণ করে থাকে। এর বাইরে রাজধানীর গণপরিবহণ উন্নয়নে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলো তাদের অধীনে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য এবারের উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, যা মোট উন্নয়ন বাজেটের ৬ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজও চলমান। এ ছাড়া যমুনা নদীতে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের কাজও রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, সরকার বেশ কিছু অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল ও ঢাকা বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর অদূরে কুতুবখালী পর্যন্ত উড়ালসড়ক অচিরেই চালু হবে।