লক্ষ্য পূরণে নেওয়া পদক্ষেপগুলো পরিপূর্ণ নয় : সিপিডি
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্য পূরণে নেওয়া পদক্ষেপগুলো পরিপূর্ণ নয় এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অপর্যাপ্ত বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এমন কথা জানান।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য পূরণে নেওয়া পদক্ষেপগুলো পরিপূর্ণ নয়। নীতি কৌশলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ অসম্পূ্র্ণ এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অপর্যাপ্ত।
সিপিডি বলছে, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতির নানা চাপ রয়েছে। চাপ মোকাবিলায় ৬টি লক্ষ্যের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বর্ধিত ভর্তুকির জন্য অর্থায়নের সংস্থান, বৈদেশিক অর্থের ব্যবহার নিশ্চিত করা, টাকার বিনিময়মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং রিজার্ভ সন্তোষজনক রাখা।
এ বিষয়ে ড. ফাহমিদা বলেন, আমরা দেখেছি বাজেটে মূল্যস্ফীতি কথাটি অনেকবার এলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয়। কর কাঠামোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কর প্রত্যাহারের প্রস্তাবনা যথেষ্ট নয়, অনেক পণ্যেই কর রয়ে গেছে। বাজেটে গম ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যে করছাড় নেই। মুদ্রাস্ফীতির এই সময়ে করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করা হয়নি, ভর্তুকি ও সামাজিক সুরক্ষার আওতা ওই অর্থে বাড়েনি।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে অর্থ আনার বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক। আর একটি বিষয় হচ্ছে এটা কখনই বাস্তবায়নযোগ্য নয়, তার চেয়ে বড় কথা হলো এটা অনৈতিক। একদিকে অর্থপাচারের সুযোগ দিয়ে আবার অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেবো। অন্যদিকে দারিদ্য জনগোষ্ঠীর জন্য করছাড় থাকবে না। সেটা সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
বর্তমান সরকারের ২২তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে রাখার কথা বলা হচ্ছে।