খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে মেডিকেল বোর্ড
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে বসেছেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। আজ শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এ বৈঠকে বসেন তাঁরা।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, এভারকেয়ার হাসপাতালের ডা. জাফর, ব্যক্তিগত চিকিৎসকদলের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে খালেদা জিয়াকে আজ ভোরের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর সেখানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমনিতে এখন স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, বিশেষ করে এনজিওগ্রাম করার পর বোঝা যাবে সমস্যা কতটা জটিল। এমনিতেই তো তিনি গুরুতর পেশেন্ট। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘চিকিৎসকেরা এরই মধ্যে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করেছেন, সেগুলো অনুযায়ী আগের দিন বিকেল থেকে তাঁর হার্টে কিছু সমস্যা দেখা গেছে। তিনি তো একটু চাপা স্বভাবের মানুষ, কিছু বলেননি কাউকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং ডা. এফ এম সিদ্দিক তাঁকে চেকআপ করতে গেছেন, তখনই তাঁর প্রবলেমের বিষয়টি জানা যায়। তখনই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দিবাগত রাত ২টার দিকে ডা. এ জেড এম জাহিদের কাছে খবর পাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থবোধ করছেন, তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিতে হবে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ম্যাডামের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আমি চলে আসি। আসার পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা হয়। তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সঙ্গেও কথা হয়। এরপর হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, দোয়া করি আগের মতোই তিনি অসুস্থতা কাটিয়ে উঠবেন এবং সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন।’