দেশে মঙ্গলবার ১ হাজার ৯১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং
দেশে গতকাল মঙ্গলবার মোট ১ হাজার ৯১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আজ বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক শামীম হাসান এ তথ্য জানান।
শামীম হাসান বলেন, ‘আমরা ১৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে মোট ১২ হাজার ৪৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান মেটাতে এক হাজার ৯১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’
এর আগে, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী দৈনিক দুই ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং কার্যকর করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সংশোধিত সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে দৈনিক এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টার লোডশেডিং দেওয়া হবে। এক সপ্তাহ পর প্রয়োজনে আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবো।’
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড তাদের এলাকাভিত্তিক বিভ্রাটের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া সরকার রাত ৮টার মধ্যে শপিংমল ও বাজার বন্ধ করার এবং এয়ার কন্ডিশনার সীমিত ব্যবহারসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে। অফিসের সময়সীমা সীমিত করার এবং প্রতি সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার পরিকল্পনা চলছে।