রাঙামাটির জুরাছড়িতে ১৪৪ ধারা
রাঙামাটির জুরাছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কায় এই ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আগামীকাল বুধবার সকালে এই ১৪৪ ধারা জারি কার্যকর হবে। অব্যাহত থাকবে সন্ধ্যা অবধি। এসময়ে ওই এলাকায় সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জীতেন্দ্র কুমার নাথ।
এক অফিস আদেশে ইউএনও জানিয়েছেন, আগামী ৩১ আগস্ট জুরাছড়ি উপজোলার যক্ষাবাজার স্থানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুরাছড়ি উপজেলার বিএনপি সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে। অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও গ্রেনেড হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারীকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে একইস্থানসহ হাসপাতাল এলাকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার সংবাদ পাওয়া গেছে। উপজেলার গুরাছড়ি ইউনিয়নের একই স্থানে একই তারিখ ও সময়ে দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে জনজীবনের অসুবিধা ও উপজেলার স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকায় উপজেলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
ওই আদেশে আরও বলা হয়েছে, ‘এই ধারা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি, জরুরি সেবা, স্বাভাবিক কাজে নিয়োজিত এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রযোজ্য হবে না।’
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু, সরকার আইনকে হাতিয়ার করে যেভাবে বিরোধী দলের কর্মসূচি ভণ্ডুল করছে, সেটার কারণে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাবে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, এভাবে যেনো আইনের অপপ্রয়োগ না করে। এটা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ও প্রশাসনকেও অবহিত করেছি। এর আগেও লংগদু, কাপ্তাই ও রাঙামাটি শহরের একটি ওয়ার্ডে একইভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর জানিয়েছেন, ‘জুরাছড়িতে আমাদের আগস্টের কর্মসূচি ছিল। বিএনপির কর্মসূচির কারণে প্রশাসন হয়ত আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক বিষয়, এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।’