শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি
দারুণ ব্যাটিং করে অর্ধশতকের দোরগোড়ায় চলে এলেও শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ করতে হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার পিনাক ঘোষ ও জয়রাজ শেখকে। কিন্তু নাজমুল হাসান শান্ত অর্ধশতক পূর্ণ করে চলে গিয়েছিলেন শতকের কাছাকাছি। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৮২ বলে ৭৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শান্তর ভালো ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশও পেয়েছে লড়াইয়ের পুঁজি। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ২৪০ রান।
জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে গতবারের শিরোপাজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও ভালোভাবে করেছে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ধীরস্থির ব্যাটিং করে ৩০ রান যোগ করেছিলেন সাইফ হাসান ও পিনাক ঘোষ। ডানহাতি ওপেনার সাইফ শুরু থেকেই খেলেছেন ধীরস্থিরভাবে। দশম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বল খেলে করেছেন ৬ রান। তবে অন্যপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ। ২০তম ওভারে দুর্ভাগ্যবশত রানআউট হয়ে যাওয়ার আগে করেছেন ৫১ বলে ৪৩ রান। পিনাকের মতো জয়রাজও অর্ধশতকের কাছাকাছি গেলেও শেষ পর্যন্ত ছুঁতে পারেননি ৫০ রানের কোটা। আউট হয়ে গেছেন ৪৬ রান করে। দুজন সেট ব্যাটসম্যানের উইকেট হারালেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। চতুর্থ উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও শান্ত। ৩৮তম ওভারে মিরাজ আউট হয়ে গেলেও শান্ত ব্যাটিং করেছেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। ৮২ বলে ৭৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলার পথে মেরেছেন চারটি চার ও তিনটি ছয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ভালো বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার উইয়ান মুলডার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন লুথো সিপামলা, শেন হোয়াইটহেড ও টনি জি জোর্জি।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। একটা ঘরের মাটিতে ও আরেকটি দক্ষিণ আফ্রিকায়। দুটি সিরিজেই মিরাজের দল পেয়েছে জয়ের মধুর স্বাদ।