বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতির বাতিঘর : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতির বাতিঘর। তিনি জীবন বাজি রেখে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে আপোসহীনভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বড় নয়, ওনার কাছে সোনার হরিণ ক্ষমতা সবচেয়ে বড়। আজকে তাঁর কাছে সবচেয়ে ঘৃণার বস্তু হচ্ছে নির্বাচন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের একটি নাম। রাজনীতিতে তাঁর যে অবদান, তা অনেক সময় ধরে। তিনি দুঃখ কষ্ট সহ্য করলেও কখনো আত্মসমর্পণ করেননি। দেশ ছেড়ে গেছেন এমন নজির নেই। সব কিছুকে ছাপিয়ে তিনি মহীয়ান ও জাতীয় জীবনের বাতিঘর। তিনি জীবন বাজি রেখে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে আপোসহীন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনে একজন নেত্রী দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, খালেদা জিয়া তা করেননি। আত্মসমর্পণ না করে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে কীভাবে আপোসহীন নেতৃত্ব দিতে হয় তাঁর নাম খালেদা জিয়া। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা জানেন যে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি হবে। সেজন্যই তিনি কুইক রেন্টালের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চুরির সুযোগ দিতে ইনডেমনিটি আইন করেছেন।’
‘আজকে গোটা দেশ চোরে গিজ গিজ করছে’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আজকে নারী ফুটবলার কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারের ব্যাগ থেকে ডলার চুরি হলো। বাংলা একাডেমি থেকে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে একজন ছাত্রলীগের নেতা ছাগল চুরি করে পিকনিক করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছে। আজকে চোরের কবলে দেশ। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও আব্দুল্লাহ আল নাইমের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) শাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্না, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ইসমাইল চৌধুরী খোকন, কাদের সিদ্দিকী ও ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।