পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে হত্যা করতেই হামলা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার যুবক। পুলিশের কাছে দেওয়া ওই স্বীকারোক্তিতে তিনি এ কথা বলেন। যদিও তাঁর নাম এখনও জানায়নি দেশটির পুলিশ। সৈয়দ তালাত হোসেন নামে এক সাংবাদিক তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ওই হামলাকারীর বক্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদের আল্লাহ ওয়াল্লা চকে লংমার্চে দুই হামলাকারী ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক হামলাকারী নিহত হন। গ্রেপ্তার হন অপর একজন। 

ইমরানের পায়ে গুলি লাগলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি এক বার্তায় বলেছেন,  ‘আল্লাহ আরও একটা জীবন দিলেন। লড়াই চালিয়ে যাব।’ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আল জাজিরার।

লংমার্চে বন্দুকধারী ইমরানকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। কিন্তু, তাঁর ডান পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লাগে। বর্তমানে লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইমরান খান।

গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তান পুলিশের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলাকারী বলেন, তিনি (ইমরান খান) লোকজনকে ভুল বোঝাচ্ছিলেন। যে কারণে তিনি ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।

সৈয়দ তালাত হোসেনের টুইটের ভিডিওতে হামলাকারীকে বলতে শোনা যায়, একজন জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমি ইমরান খানকে হত্যার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। আমি কেবল ইমরান খানকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। এ ছাড়া আমার আর কাউকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না।’

‘তুমি এই কাজ কেনো করেছ?’ জিজ্ঞেস করলে ওই হামলাকারী বলেন, ‘ইমরান খান এইসব লোকদের ভুল বোঝাচ্ছিলেন। আমি এগুলো সহ্য করতে পারছিলাম না। যে কারণে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছি।’

হামলাকারী ওই যুবক আরও বলেছেন, ইমরান খান লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।

এই হামলায় আর কোনো সহযোগী আছে কি না জানতে চাইলে গ্রেপ্তার যুবক বলেন, ‘আমার সঙ্গে আর কেউ ছিল না। আমি একাই ছিলাম।’