‘ফুটবল জাদুকর’ ম্যারাডোনার প্রয়াণের ২ বছর
আর্জেন্টাইন তারকা দিয়াগো ম্যারাডোনাকে ছাড়াই চলছে কাতার বিশ্বকাপ। ম্যারাডোনার মেয়ে দালমার হৃদয়ে তাতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে নিশ্চিত। আজ সে ব্যথা আরও বাড়বে সন্দেহ নেই। ২০২০ সালের আজকের এই দিনেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছিলেন ফুটবল জাদুকর ম্যারাডোনা।
বিশ্ব মঞ্চে ফুটবলের দারুণ উপস্থাপনায় ভক্তদের হৃদয়ে যেমন জায়গা করে নিয়েছেন, তেমনি জনপ্রিয় করেছেন ফুটবলকে। দলকে এনে দিয়েছেন সর্বোচ্চ শিরোপা। তাঁর এনে দেওয়া শিরোপার পরে আর্জেন্টিনা আর জিততে পারেনি এ পুরস্কার। ১৯৮৬ সালের পরে চলে গেছে ৩৬ বছর। এবার ম্যারাডোনার মেয়ে লিওনেল মেসিকে বাড়ি ফেরার পথে বাবার জেতা শিরোপা ফেরত আনতে বলেছেন।
এমন আবেগের স্রষ্টাই ছিলেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। এজন্য ভক্তদের কাছে ‘এল পিবে দে অরো’ (সোনালি বালক) হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ম্যারাডোনা সর্বমোট ৯১ ম্যাচে ৩৪টি গোল করেছিলেন। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত ফিফা শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় ব্রাজিলের পেলের সঙ্গেও তিনিও জায়গা করে নেন।
এ ছাড়াও ম্যারাডোনার রয়েছে অসংখ্য কীর্তি। খেলার জগতে যেমন সমালোচিত হয়েছিলেন, তেমন ছিলেন আলোচনায়ও।
২০২০ সালের ২রা নভেম্বর তারিখে মানসিক কারণে ম্যারাডোনাকে লা প্লাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময়ে জানানো হয়েছিল ম্যারাডোনার অবস্থা গুরুতর নয়। একদিন পরে তাঁর মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করা হয়। সেটি সফলও হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যান ম্যারাডোনা। বুয়েনোস আয়ার্স প্রদেশের তিগ্রেতে তাঁর নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তি।
আজ ম্যারাডোনার প্রয়াণের দুই বছর হলো। প্রয়াণ দিবসে সারা বিশ্ব স্মরণ করছেন এই জাদুকরী ফুটবল তারকাকে।