বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েও মন খারাপ তিউনিসিয়ার
এক অদ্ভুত পরীক্ষা করলেন দিদিয়ের দেশম। ফ্রান্সের কোচ ম্যাচের অধিকাংশ সময়ে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন অ্যাড্রিয়েন, গ্রিজম্যান-এমবাপ্পেদের। হয়তো তিনি পরীক্ষা করে দেখলেন তারকাদের ছাড়া দলের পারফরম্যান্স কেমন হয়! তবে দিদিয়ের পরীক্ষার সুযোগে ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে তিউনিসিয়া।
এদিকে জিতেও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের কারণে পরের পর্বে যাওয়া হলো না তিউনিসিয়ার। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েও আসর থেকে বিদায় নিতে হলো তিউনিসিয়াকে।
আজ বুধবার রাত ৯টায় কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স-তিউনিসিয়া। হার বা জয় কোনো সমীকরণই ফ্রান্সের জন্য তেমন প্রভাবক হিসেবে কাজ করতো না। এটি জেনে এমবাপ্পেদের ছাড়া দলের ভূমিকা পরীক্ষা করলেন কোচ। যদিও গোল খেয়ে গ্রিজম্যান-এমবাপ্পেদের মাঠে নামাতে বাধ্য হয়েছেন দেশম। তবে অফসাইডের কারণে ফল পরিবর্তন করতে পারেনি ফ্রান্স।
প্রথমার্ধে গোল শূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুদল। বিরতি শেষে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দলটি। সফলতা আসে ৫৮ মিনিটে। আইসা লাইদউনির বানিয়ে দেওয়া বলে গোল করেন ওহাবি খাজরি। তাতে ১-০ গোলে লিড পায় তিউনিসিয়া।
পিছিয়ে পড়ে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা অ্যাড্রিয়েন-এমবাপ্পেদের মাঠে নামান কোচ দিদিয়ের। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মাঠে নামানো হয় তাঁদের। ৭৩ মিনিটে নামানো হয় গ্রিজম্যানকে। আর ম্যাচের ঠিক শেষ মুহূর্তে গ্রিজম্যান গোল করে বুঝিয়ে দিলেন তারকারা দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে গলার কাঁটা হয়ে বিঁধেছে অফসাইডের বাঁশি। ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন। তাতে শেষ ম্যাচে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ফ্রান্সকে।
কাতার বিশ্বকাপে যখন অন্যরা টিকে থাকার জন্য ধুঁকছিল, তখন ফ্রান্স নিজেদের চ্যাম্পিয়ন তকমা ধরে রেখে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করেছে সবার আগে। সেজন্য তিউনিসিয়ার বিপক্ষে কিছুটা নির্ভার ছিল তাঁরা। এই সুযোগকেই কাজ লাগিয়েছে তিউনিসিয়া। শেষ ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে জয় তুলে নিল তাঁরা।
এদিকে নক আউটে ফ্রান্স দেওয়ার চেষ্টা করবে সর্বোচ্চটুকু, সেজন্যই হয়তো প্রথমদিকে তারকাদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল, বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তারকারা না থাকায় ফ্রান্সের আক্রমণে তেমন জোর দেখা যায়নি। উল্টো তিউনিসিয়া চালিয়েছে বেশ কয়েকটি আক্রমণ। তবে প্রথমার্ধে পরবির্তন হয়নি স্কোরবোর্ড।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে ফ্রান্সের কিংসলে কোমান পেয়েছিলেন গোলের সুযোগ। তবে গোল মিস হওয়ায় তাঁদের তেমন আক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। ৩০ মিনিটে তিউনিসিয়ান স্ট্রাইকার আনিস বেন স্লিমান পেয়েছিলেন দলকে লিড এনে দেওয়ার সুযোগ। কিন্তু ফ্রান্সের প্রহরী সে সুযোগকে কাজে লাগাতে দেয়নি।
এবার বিশ্বকাপের প্রথম জয় পেল তিউনিসিয়া। তবে জয়ের পরেও মনটা খারাপ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার কারণে। গ্রুপের অপর দল ডেনমার্ককে হারিয়ে শেষ পর্বে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে বাদ পড়তে হলো তিউনিসিয়াকে।