সেনেগালকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড
বিদায় হলো আফ্রিকার দেশ সেনেগালের। তারকা সাদিও মানে থাকলে হয়তো দলটি আরও কিছুটা পথ পাড়ি দিতে পারত। কাতার বিশ্বকাপ থেকে হয়তো আরও স্মৃতি নিয়ে ফেরা যেত। তবে সাদিওর অনুপস্থিতে বাকিরা যতটুকু করেছেন, তাতে চোটে পড়া সাদিও হয়তো কিছুটা তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন। দ্বিতীয় পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর থেকে বিদায় নিয়েছে সেনেগাল।
রোববার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-সেনেগাল। ম্যাচের শুরুতে ইংল্যান্ডের ওপরে যেভাবে চড়াও হয়েছিল সেনেগাল, সেটি বেশিসময় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। কয়েকটি আক্রমণ করে আশা জাগিয়েও খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। তাতে প্রথমার্ধের বিরতির আগেই দুই গোল হজম করতে হয়েছিল।
বিরতিতে যাওয়ার আগে আক্রমণে যে ক্ষিপ্রতা এনেছিল ইংল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধেও থাকে সেই ধারাবাহিকতা। ৫৭ মিনিটে ফিল ফোডেনের দারুণ পাস থেকে গোল করেন বুকায়ো সাকা। তাতে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তিন গোল খেয়ে সেনেগাল খেলা থেকে ছিটকে যায়। পরবর্তী সময়ে আক্রমণের চেয়ে রক্ষণেই বেশি সময় কেটেছে তাঁদের। আর দু’একটি যাও আক্রমণ হয়েছিল সেটিতেও ফিনিশিং এবং দুর্বল আক্রমণের কারণে গোল আদায় করা সম্ভব হয়নি।
প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটে সেনেগাল দুটি সুযোগ মিস করেছিল। স্ট্রাইকার বৌলায়ে দিয়া এবং ইসমাইলা সর আক্রমণে নেমেছিলেন ইংল্যান্ড শিবিরে। তবে জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি তাঁরা। ৩২ মিনিটে আবারও গোলে শট করেছিলেন বৌলায়ে দিয়া। তবে সেবারও দুর্ভাগ্য সেনেগালের। ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের শৈলীতে গোল বঞ্চিত হয়েছিল বৌলায়ে।
ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন জর্ডান হেন্ডারসন। ৩৮ মিনিটে আরেক মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের পাসে এসেছিল গোলটি। ইংল্যান্ড লিড পায় ১-০ গোলে। এতক্ষণে চাপ সামলানো ইংল্যান্ড প্রাণ ফিরে পায় আক্রমণে। কখনও বাঁ প্রান্ত, কখনও ডান বা মধ্যভাগ দিয়ে তাঁরা চেপে ধরে সেনেগালকে।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে এসেছিল দ্বিতীয় সফলতা। ৪৮ মিনিটে ফিল ফোডেনের বাড়ানো বলে ডান প্রান্ত দিয়ে তারকা হ্যারি কেইন গোলটি করেন। তাতে প্রথমার্ধে সেনেগালের বিপক্ষে ২-০ গোলের লিড পেয়েছিল ইংল্যান্ড। আর শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো ইংলিশরা।
ম্যাচের ৬১ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে বল রেখেছিল ইংল্যান্ড এবং গোলমুখী শট নিয়েছিল ৮টি (৪টি অনটার্গেট)। অপরদিকে সেনেগাল বল রেখেছিল ৩৯ শতাংশ এবং ১০ টি শট ছিল গোলমুখে, যার মধ্যে একটি ছিল অনটার্গেট।
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাত ১টায় কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।