ক্রিকেটেও আসছে লাল কার্ড?
ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং বা অশোভন আচরণ-মন্তব্যের ঘটনা অহরহই ঘটে থাকে। সে জন্য শাস্তির মুখোমুখিও হতে হয় ক্রিকেটারদের। তবে সেই শাস্তি তাঁরা পান ম্যাচ শেষ হওয়ার পর। ক্রিকেট-বিশ্বে নতুন যে চিন্তাভাবনা চলছে, তা সত্যিই বাস্তবায়ন করা হলে ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই শাস্তির মুখোমুখি হবেন ক্রিকেটাররা। ফুটবলারদের মতো ক্রিকেটারদেরও মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যেতে হবে লাল কার্ড দেখে।
হ্যাঁ, ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও লাল কার্ড প্রথা চালুর চিন্তাভাবনা করছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ইংল্যান্ডের এই সংস্থাই ক্রিকেটীয় আইনকানুন প্রণয়ন, পরিবর্তন বা পরিমার্জন করে থাকে। ক্রিকেট মাঠে আম্পায়ারদের হাতে আরো বেশি ক্ষমতা দেওয়ার লক্ষ্যে এবার লাল কার্ড প্রথা চালুর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে এমসিসি। প্রাথমিকভাবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগ, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ক্রিকেটে এই লাল কার্ড পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে তারা। এমসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের অসদাচরণের পরিমাণ যে বাড়ছে, সেটার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচটি ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করতে হয়েছে সহিংসতার কারণে। বেশির ভাগ ক্রিকেটার সঠিক আদর্শ নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেললেও কিছু খেলোয়াড়, এমনকি কিছু দলের আচরণ ক্রিকেটীয় চেতনার সঙ্গে খাপ খায় না।’ এমন যুক্তি থেকেই ক্রিকেট মাঠে লাল কার্ড প্রথা চালু করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে এমসিসি।
ফুটবলের মতো ক্রিকেট মাঠেও কোনো খেলোয়াড় অসদাচরণ করলে তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন আম্পায়াররা। সবচেয়ে গুরুতর, চতুর্থ পর্যায়ের অসদাচরণের মধ্যে আছে আম্পায়ারকে হুমকি, শারীরিক আঘাত বা বর্ণবাদী গালাগাল। এ ধরনের অপরাধের জন্য লাল কার্ড দেখে সঙ্গে সঙ্গে মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে ক্রিকেটারদের। তৃতীয় পর্যায়ের অসদাচরণের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে ১০ ওভার। আরো কিছু ছোটখাটো অসদাচরণের জন্য পাঁচ রানের জরিমানা আরোপের প্রস্তাবও জানানো হয়েছে এমসিসির পক্ষ থেকে।
২০১৭ সালের অক্টোবরে ক্রিকেটের নতুন আইনকানুন প্রকাশ করার কথা এমসিসির। সেখানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারে এই লাল কার্ড প্রথাও।