৫৪ দিনে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালি গেছে ৪৪৭ বাংলাদেশি
ভালো ভবিষ্যতের আশায় বৈধ বা অবৈধ উপায়ে প্রতিদিনিই ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে অভিবাসন প্রত্যাশীরা। অবৈধ উপায়ে যারা পাড়ি জমাচ্ছে, তাদের অন্যতম প্রধান রুট ভূমধ্যসাগর। এই রুটেই ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাচ্ছে তারা। এদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের ভাগ্যের সহায়তায় পৌঁছাচ্ছে লক্ষ্যে। তবে, জাহাজডুবিসহ নানা কারণে অনেকেই নিহত হচ্ছে সাগরে, কেউবা হচ্ছেন নিখোঁজ। এসব বিপদ জেনেও কমছে না এই রুটের ব্যবহার। এই রুট ব্যবহারকারীদের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে বাংলাদেশিরাও। মাত্র ৫৪ দিনে এই পথে ইতালি গেছে ৪৪৭ জন।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ইতালি। উত্তর আফ্রিকা ও তুরস্ক থেকে শরণার্থীরা দেশটিতে আসছে। তবে, সম্প্রতি সময়ে অভিবাসী নিয়ে বেশ কঠোর হতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। তারপরও কমছে না শরণার্থীদের স্রোত।
ইতালিতে যাওয়ার তালিকায় এবারই প্রথম নাম আসেনি বাংলাদেশিদের। ২০২২ সালে ১৪ হাজার ৯৮২ বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধ উপায়ে পাড়ি জমিয়েছে ইতালিতে। এ জন্য তারা ব্যবহার করেছেন ভূমধ্যসাগরের রুটটি।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, চলতি বছরের ১ তারিখে থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের রুটটি দিয়ে কয়েকটি নৌযানে ইতালি উপকূলে এসেছে ১৩ হাজার ৬৭ অভিবাসন প্রত্যাশী। এর মধ্যে নাবালক ৮৬১ জন।
ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসন প্রত্যাশীদের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশিরা। মাত্র ৫৪ দিনে ভূম্যধসাগর পাড়ি দিয়ে দেশটিতে গেছে ৪৪৭ বাংলাদেশি। আর তালিকার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিয়া। দেশটি থেকে সাগরের রুটটি ব্যবহার করে ইতালিতে গিয়েছে এসেছে এক হাজার ৬৫৪ গিনিয় নাগরিক।। এরপরেই রয়েছে আইভেরি কোস্ট। দেশটি থেকে এক হাজার ৫১১ অভিবাসন প্রত্যাশী ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছেন। ৯৯৭ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তিউনিশিয়া থেকে ইতালিতে পৌঁছেছে ৮৪৬ অভিবাসন প্রত্যাশী। আর মিশর থেকে গেছে ৪৯০ জন।
২০২২ সালে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী গিয়েছে মিশর থেকে। বছরটিতে ২০ হাজার ৫৪২ মিশরিয় নাগরিক পাড়ি জমিয়েছে ইতালিতে। ১৮ হাজার ১৪৮ তিউনিশিয় নাগরিক গিয়েছে ইউরোপের দেশটিতে।