সাকিবের পোস্টে এত ‘কান্না’ কেন?
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা তারকা। ক্রিকেটের বাইরেও তিনি রেখে আসছেন মানবিকতার দৃষ্টান্ত। চলতি বছর প্রথম রমজানে চালু করেছেন সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন। এর আগে করোনায় শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন। মানুষের বিপদে সাকিব ছুটে আসেন সবসময়ই। সবার ভালোবাসাও পান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিলে লাভ রিঅ্যাকশনের পাল্লাটাই ভারী থাকে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সাকিবের একটি পোস্টে দেখা গেল উল্টো চিত্র। লাভ রিঅ্যাক্টের চেয়ে স্যাড রিঅ্যাকশন বেশি। হঠাৎ করে সাকিবের প্রতি ভালোবাসা কান্নায় পরিণত হলো কেন?
বঙ্গবাজারের অন্যতম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। যার যার অবস্থান থেকে মানুষ এগিয়ে আসছে সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তার নিয়ে। ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সাকিব আল হাসানও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের একদিনের ইফতারের জন্য ২০ হাজার টাকা দেবেন তিনি। এতে আশাহত হয়েছেন অনেকে।
সাকিবের মতো একজন সেলিব্রেটির কাছ থেকে আরও বড় কিছুর ঘোষণা আশা করেছিল সবাই। বিস্ময় ও দুঃখের পরিমাণ বোঝা যায় তাঁর পোস্টে রিঅ্যাকশন দেখলে। দুই লাখ ২১ হাজার রিঅ্যাকশনের মধ্যে এক লাখ ২২ হাজার স্যাড রিঅ্যাক্ট। লাভ রিঅ্যাক্টের সংখ্যা মাত্র ৩০ হাজার। মন্তব্যের ঘরেও প্রকাশ পেয়েছে হতাশা। অনেকে বলছেন, সাকিবের উচিত ছিল কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা দেওয়া। কেউ বলছেন, সাকিব সামান্য এই টাকা না দিলেও পারতেন।
নূর মোহাম্মদ নয়ন নামক একজন লিখেছেন, ‘আপনি দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদান করলেও অতি নগণ্য। আজকে (৪ এপ্রিল) অলরেডি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাখ লাখ টাকার ইফতার পৌঁছে দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ও উপস্থিত জনতার মাঝে।’
মুহাম্মদ ইউনুস নামে বঙ্গবাজারের এক ব্যবসায়ী লিখেছেন, ‘বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা ৫০,০০০/১,০০,০০০ টাকা বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় কাজে অনুদান দেওয়ার মতো ব্যবসায়ী। তাঁদের ইফতারের জন্য ২০,০০০ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেশসেরা ক্রিকেটারের পক্ষ থেকে, এটা আমাদের সঙ্গে উপহাস ছাড়া কিছুই নয়।’
তবে, বরাবরের মতোই সাকিবকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁর একনিষ্ঠ ভক্তরা। ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, সাকিব চাইলেই আরও বেশি পরিমাণ অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারতেন।