রেফারিকেই লাল কার্ড!
ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়দের শাস্তি হিসেবে হলুদ কার্ড বা লাল কার্ড দেখানোর ক্ষমতা থাকে শুধু রেফারির। মাঠে খেলা পরিচালনাকারী এই রেফারির অনেক সিদ্ধান্তই হয়তো মেনে নিতে পারেন না ফুটবলাররা। সে জন্য আফসোস-আক্ষেপ করা ছাড়া আর তেমন কিছু করার থাকে না তাদের। তবে অভিনব অনেক কিছু যে খেলোয়াড়রা করে বসতে পারেন, সেটাই সম্প্রতি দেখিয়ে দিলেন সালিহ দারসুন। রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে উল্টো রেফারিকেই লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ নিয়েছেন তুরস্কের এই ফুটবলার। বিনিময়ে তাঁকেও অবশ্য দেখতে হয়েছে ফিরতি লাল কার্ড।
মজার এই ঘটনাটি গত রোববার ঘটেছে তুরস্কের প্রথম সারির লিগে। খেলা চলছিল গ্যালাতাসারাই ও ত্রাবজোন্সপোরের মধ্যে। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই ছিল ১-১ গোলের সমতা। ৭০ মিনিটের মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন ত্রাবজোন্সপোরের দুই ফুটবলার। নয়জনের দল নিয়েও ড্র করে মাঠ ছাড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল তুরস্কের মাঝারি সারির এই ক্লাবটি। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে বাধে বিপত্তি। ৮৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ভয়াবহ ফাউল করে বসেন ডিফেন্ডার কাভান্দা। রেফারিও দেখিয়ে দেন সরাসরি লাল কার্ড।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে রেফারিকে ঘিরে দাঁড়ান ত্রাবজোন্সপোরের ফুটবলাররা। ঠেলাঠেলি-হুড়োহুড়িতে কার্ডটা পড়ে যায় রেফারির হাত থেকে। সেটা মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে রেফারিকেই লাল কার্ড দেখিয়ে দেন দারসুন। রেফারিও সঙ্গে সঙ্গে কার্ডটি কেড়ে নিয়ে দারসুনকেই দেখিয়েছেন পাল্টা লাল কার্ড। ম্যাচের এই পর্যায়ে ত্রাবজোন্সপোর পরিণত হয়েছিল সাতজনের দলে।
রেফারির সঙ্গে এমন আচরণ অবশ্য এই ক্লাবের জন্য নতুন কিছু না। গত নভেম্বরে রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারায় চারজন ম্যাচ কর্মকর্তাকে একটা ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন এই ত্রাবজোন্সপোরের চেয়ারম্যান। এ জন্য ২৮০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁকে।