রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে : রওশন এরশাদ
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
১২ লাখ রোহিঙ্গা বছরের পর বছর বাংলাদেশে বসবাস করছে বলে জানিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, ফলে নানা ধরনের সংকট দেশে সৃষ্টি হয়েছে। তারা নানা অপরাধে যুক্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মাদক কারবার চলছে। আমাদের দেশে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাম্য নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা যুগ যুগ চলতে পারে না। এখন তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিরোধীদলের এই নেতা বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। তারা তাদের দাবি দাওয়া দেশের মাটিতে থেকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। খুবই অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা, যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে শুধু তারাই মিয়ানমারে ফিরে যেতে নারাজ।
রওশন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। মিয়ানমার সরকারও রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। তবে অবশ্যই তাদের মর্যাদা দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে এবং তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করতে হবে। মিয়ানমারের প্রতিবেশী ও প্রভাবশালী দেশ চীনও তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করছে। চীন তাদের দুই হাত প্রসারিত করেছে। এই প্রভাবশালী রাষ্ট্র মধ্যস্থতা করে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের উচিত খুবই সর্তকতার সঙ্গে এবং কূটনৈতিকভাবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করা।’